সুজয় বকসী,নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পেড়লী গ্রামে আজাদ হত্যা মামলার আসামি ও তাদের স্বজনদের বাড়ি আসা নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে গ্রামটিতে।
ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দীর্ঘ ১১মাস বাড়ি ছাড়া প্রায় দুইশ’ পরিবারের প্রায় ৫শ’নারী-পুরুষ ও শিশু নিজেদের বাড়িতে প্রবেশ করতে চাইলে নিহত আজাদের ভাই সাজ্জাদ ও উজ্জ্বলের নেতৃত্বে তাদের দলীয় লোকজন মহসিন মোড় বাজার এলাকায় দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িতে প্রবেশে বাঁধা দেয় বলে প্রতিপক্ষ শহিদুল ইসলাম জানান।
শহিদুল ইসলাম আরো জানান, তাকে ও তাঁর দলের লোকজনকে হত্যার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।আমরা যখন শনিবার সকালে নিজ নিজ বাড়ি প্রবেশের জন্য ইছামতি দিয়ে বাড়ির দিকে এগুচ্ছি,তখন আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষ সাজ্জাদ,উজ্জ্বল,নয়ন ও তাঁর লোকজন একটি ব্যাগে বোমা দিয়ে তাদের দলীয় জিহাদুল (১৬) ও টুটুল মোল্যা (১৫) নামে দুই কিশোরকে পাঠিয়ে দেয় বলে জানান শহিদুল।
খবর পেয়ে বাশুয়াড়ি ক্যাম্পের পুলিশ ইনচার্য মোঃ মোকারম হোসেন ঘটনাস্থলে এসে ওই দুই কিশোরকে আটক করে নিয়ে যায়। একদিকে সংঘাতের আশংকা,অপরদিকে বাড়ি আসতে না পেরে অনেকেরই ঈদ আনন্দ ম্লান হতে চলেছে বলে জানান ভূক্তভোগী একাধিক ব্যক্তি।
সূত্রে জানা যায়,২০২৩ সালের ২০জুলাই সন্ধ্যায় আজাদ শেখ হত্যাকান্ডের ঘটনায় শহিদুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে মোট ২০জনকে আসামি করে কালিয়া থানায় মামলা দায়ের হয়।মামলার আসামিরা বর্তমানে জামিনে মুক্ত আছেন।হত্যাকান্ডের পরবর্তীতে মামলার বাদিপক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুরসহ ব্যাপক তান্ডবলীলা চালায়। হামলার ভয়ে অনেকে বাড়িঘর ফেলে অন্যত্র অশ্রয় নেন।এ হত্যাকান্ডে প্রতিপক্ষের তান্ডবে ১১মাস বাড়িছাড়া বলে জানান অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য লাল্টু ভূঁইয়া।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, আমরা কাউকে বাড়ী উঠতে বাধাঁ প্রদান করিনি, এলাকায় শান্তি ফিরে আসুক, এটাই আমরা চায়। আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। এ সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
পেড়লী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক আজিজ জানান,পুলিশ মহসিন মোড় বাজার এলাকা পরিদর্শন করেছে।কেউ আইন-শৃংখলার অবনতি ঘটাতে চাইলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না।বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে বলে তিনি জানান।