ব্যারিস্টার সুমনকে মেরে ফেলার হুমকিতে চুনারুঘাটে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

0
13
ব্যারিস্টার সুমনকে মেরে ফেলার হুমকিতে চুনারুঘাটে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

এস এম সুলতান খান,চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) থেকেঃ হবিগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য দেশের আলোচিত এমপি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে হত্যার হুমকি দাতা ও তাদের নির্দেশ দাতাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা এবং তার নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করার দাবিতে চুনারুঘাট পৌর শহরে মানববন্ধন,বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৩০ জুন রোববার বিকেলে চুনারুঘাট পৌর শহরে উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্যারিস্টার ফুটবল একাডেমির চেয়ারম্যান সুহাগ রহমান , ব্যারিস্টার ফুটবল একাডেমির ম্যানাজার ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সম্রাট আহমেদ , ব্যারিস্টার ফুটবল একাডেমির সাধারণ সম্পাদক কাউছার আহমেদ, উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি মো: রাশেদুল আলম রাসেল , কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশিক আহমেদ, মালেক জাপানি, তাজুল বাহার, হাজ্বী দুলাল সহ উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এব বিভিন্ন স্তরের সাধারণ মানুষ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
এসময় বক্তারা পরিকল্পিত হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার আহবান জানান। অন্যতায় কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন তারা । এরআগে শুক্রবার ২৮ জুন বিকেলে ডিসিপি হাইস্কুল মাঠে ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি বনাম কসবা আলহাজ্ব শাহ আলম খান ফুটবল একাদশ ক্লাবের খেলায় অংশগ্রহণে এসে এমপি সুমন তার বক্তব্যে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্রের কথা জানান।

তিনি ওই সময়ে দুই তিন ধরে একটি গ্রুফ ঘুরতেছে আমাকে মেরে ফেলার জন্য। যেভাবেই হোক আমি খবর পাইছি। এমন খবর জানার পর মাঠে কেউ খেলার কথা নয়। আমি দেইকা আসছি। আমি চাই চুনারুঘাটে মরলেই সবচেয়ে বেশি খুশি হইমু। যাহাতে আমি মরলে আমার মাটিটা চুনারুঘাটের মাটিতেই হয়। তাও আমি ভয়ে আমার কোন কাজ বন্ধ করবনা। আমি এ খবর শোনার পর আপাতত এক্সট্রা সিকিউরিটি রাখছি আমার কাছে কাউকে এলাও করছি না এবং আপনারা কয়েকদিন সেল্ফি তুলতে আসবেননা। কারণ কে কোন মন নিয়ে আসে সেটা বুঝা জায়না।
পরে এমপি সুমন নিজেই গত ২৯ জুন ঢাকা শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডাইরি করেন এমপি সুমন। এমপি সুমন বলেন, আমাকে হত্যার হুমকির কথা আমি আমার এলাকার ওসির মাধ্যমে জেনেছি। এরপর গত রাতে আমি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় জিডি করেছি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আমি একজন মেম্বার অফ পার্লামেন্ট (এমপি) আমাকে কেন জিডি করতে হলো?

যেহেতু পুলিশই বিষয়টি আমার আগে জেনেছেন। তাহলে কেন পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবিষয়ে পদক্ষেপ নিলেন না? তদন্ত করলেন না? যেখানে আমার জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, ‘আমার নিরাপত্তা তো এখন আমার নিজেকেই দিতে হচ্ছে। আমি এটাই বুঝলাম না যে, এই রাষ্ট্রযন্ত্র আদৌও আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে চায় কি না? আমার মনে হচ্ছে পুলিশ একটি অপমৃত্যুর মামলা লেখার জন্য বসে আছে। সাক্ষী দেয়ার জন্য বসে আছে। তবে বর্তমান পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) সাথে আমার কথা হয়েছে। তিনি ভালভাবে বিষয়টি দেখছেন বলেছেন।

এদিকে এমন খবর শুনে তার নিজ এলাকা চুনারুঘাটে ভক্তবৃন্দের মধ্যে উত্তেজনা ও ক্ষোভ দেখা দেয় ।
চুনারুঘাট পৌর শহরের বাসিন্দা তার ঘনিষ্ঠ ভক্ত তাজুল বাহার জানান, এমপি সুমন ভাইয়ের কিছু হলে আমরা ঘরে বসে থাকবোনা। আমি সহ সকল ভক্ত বৃন্দ মিলে কাউকে ছাড় দিবোনা এমন হুশিয়ারী দেন তিনি। পৌর শহরের আরেক বাসিন্দা তার ভক্ত হাজ্বী দুলাল বলেন, এই সৎ সাহসী এমপির উন্নয়ন কাজ কে ব্যাহত করতে অজ্ঞাত একটি চক্র উঠে পড়ে লেগেছে। কুচক্রী মহল যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন কোন লাভ হবে না, সততার সাথে তিনি এগিয়ে যাবেন আমরা তার সাথে আছি। খেলা শেষে আরেক ভক্ত মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বলেন, যারা সুমন ভাইকে মারতে চায় তাদের হাত ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিবো। সুমন ভাইকে মারা চলবেনা। এবিষয়ে রাতে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হিল্লোল রায় জানান, ঢাকায় একটি সাধারণ ডাইরি করা হয়েছে এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে।