৮ বছর বয়সেই কেন রোজগার করার চিন্তা এসেছে এই শিশুর?

0
75
৮ বছর বয়সেই কেন রোজগার করার চিন্তা এসেছে এই শিশুর?

নুরুজ্জামান ফারুকী,বিশেষ প্রতিনিধি: আট বছরের শিশু ফয়েজ মিয়া সে গ্রামের প্রাইমারী স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে। তার সহপাঠিরা ভাল কাপড় ব্যবহার করে। স্কুলে প্রতিদিন দশ-পনের টাকা নাস্তা ও অন্যান্য খাতে ব্যয় করে। কিন্তু ফয়েজ তাদের মতো প্রতিযোগীতা করে ব্যয় করতে পারেনা। অন্যেরা যখন দোকান থেকে কিছু কিনে খাই তখন সে চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া উপায় নেই। ফলে নিজেই নিজেকে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করছে ওই শিশু। পিতা-মাতা ও স্কুল শিক্ষকদের অগোচরে ক্লাসে না গিয়ে সে গ্রামের পাশের হাওড়-বিল থেকে কলমী শাক তুলে বাজারে বিক্রি করছে ওই শাক।
সে হচ্ছে নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের গুমগুমিয়া গ্রামের মোফাজ্জল মিয়ার পুত্র। তার সাথে বুধবার দুপুরে সাক্ষাত হয় নবীগঞ্জ শহরতলীর জে,কে, হাইস্কুলের সামনে। অনেক আলাপের পর তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সে জানায় পড়তে চায়। লেখা-পড়া করে শিক্ষিত হতে চায়। তবে তার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে সংসারের অভাব-অনটন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার গ্রামের একজন যুবক বলেন-ফয়েজ শুধু নবীগঞ্জ বাজারে নয় । আরো বিভিন্ন বাজারে কলমী শাক, লতা,কচু শাপলা ফুল, বিক্রি করতে তাকে দেখা যায়। তবে সে কোন স্কুলে পড়ে তিনি জানেন না।

ফয়েজের মতো আরো অনেক শিশুরা টাকা উপার্জন করতে বিভিন্ন পেশা বেঁচে নিয়েছে। সমাজের বিত্তশালীর ব্যক্তি যদি তাদের নিজ -নিজ এলাকার হতদরিদ্র শ্রেণীর লোকদের ছেলে-মেয়েদের পাশে দাঁড়ান তাহলে কোমলমতী শিশুরা ক্লাস মিস্ করে টাকা উপার্জন করতে বিভিন্ন শাক সব্জি বিক্রি করতে হতো না।