আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,২৮এপ্রিল, নিজস্ব প্রতিনিধি,জুড়ীঃ মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার কন্টিনালা জামে মসজিদের ক্যাশের টাকার হিসেব নিয়ে সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে যায় কন্টিনালা। খবর পেয়ে পুলিশ এসেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয় তাদের। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, অত্র মসজিদের ক্যাশের হিসেব নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে লেগে আসছে নানা জটিলতা।
কয়েকদিন পূর্বে তা সমাধানের জন্য জায়ফরনগর ইউ.পি সদস্য কথা দিলেও তা সমাধান করতে পারেননি। (২৮ এপ্রিল) শুক্রবার সকালে তা নিয়ে আবারো বৈঠক শুরু হলে হঠাৎ উভয় গ্র“ফের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হলে এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে জায়ফরনগর ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান মোসলেহ উদ্দিন আহমদ (মোসলিম)’র ছোট ভাই লিয়াকত আলী গুরুতর আহতসহ আরো প্রায় ২০/২৫জন আহত হন। পরে তাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।
পরে আবারো দু’গ্রুপ দফায় দফায় দল বেঁধে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের সামনে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে জুড়ী কুলাউড়া-ঢাকা সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে জুড়ী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধূরী মনি ও আওয়ামীলীগ জুড়ী উপজেলা যুগ্ম আহবায়ক হাজী সফিক উদ্দিন, জায়ফরনগর ইউ.পি চেয়ারম্যান হাজী মাসুম রেজা ও সাবেক চেয়ারম্যান ও বাস মালিক সমিতি সভাপতি হাজী মঈন উদ্দিন মইজন সহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত হয়ে তাদের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এব্যাপারে মসজিদ কমিটি সভাপতি মনিরুল ইসলাম জানান, বৈঠক চলাকালে আমার প্রতিপক্ষ হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে এক পর্যায়ে আমার মাথায় আঘাত করলে গুরুতর আহত অবস্থায় আমাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জুড়ী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি উভয় পক্ষকে সংঘর্ষ থেকে বিরত থাকার কথা বলে বিষয়টি সমাধানের জন্য ১মে জুড়ী থানায় বিচার বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছি।