র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ক্যাসিনো বন্ধ করার অভিযানে নেমেছে র্যাব। সব ক্যাসিনো গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। তবে ক্যাসিনোর সংখ্যা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে অনুমাননির্ভর তথ্য আসছে, যা ঠিক নয়।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বনানীর হোটেল নরডিকে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে সক্ষমতা বিষয়ে বিশেষ মহড়া শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
র্যাব প্রধান বলেন, কেউ বলছেন ঢাকায় ৬০টি ক্যাসিনো আছে, কেউ বলছেন ১৫০, আবার কেউ বলছেন ৬০০। সেই তালিকাটি কোথায়, ভাইয়া ? এ রকম অনুমান নির্ভর, গুজব নির্ভর, গসিপ নির্ভর কথাবার্তা ভালো নয়। দয়া করে কোনো গুজব ছড়াবেন না, আতঙ্ক ছড়াবেন না। দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভালো করতে গিয়ে দেশ পেছনে পড়ে যাক এটা কাম্য নয়। অনেক অনুমান নির্ভর কথা বলা হচ্ছে, চরিত্র হনন করা হচ্ছে, এগুলো ঠিক নয়।
বেনজীর আহমেদ বলেন, ক্যাসিনো নিয়ে ইতোমধ্যে অনেক আলোচনা হয়েছে। এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে একটা শুদ্ধি অভিযান হয়েছিল, যা পরে মুখ থুবড়ে পড়ে। এখন একটি শুদ্ধি অভিযান চলছে। সেটা হয়তো আরও প্রসারিত হবে। রাজনীতিবিদ, বড় ব্যবসায়ী, সরকারি দফতরের বর্তমান ও সাবেক প্রকৌশলী-যাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। দুদক কাজ করছে।
র্যাব এখন একক ভাবে জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালাতে সক্ষম কিনা ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, র্যাব সবসময় সক্ষম। যে কোনো সময় যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম। ভবিষ্যতেও সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
অন্যান্য কমান্ডো বাহিনীর সঙ্গে র্যাবের স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের পার্থক্য প্রসঙ্গে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, কোনো ক্যাপাসিটি কোনো ক্যাপাসিটির বিকল্প নয়। বাহিনী গুলোর উদ্দেশ্য হচ্ছে সক্ষমতা বাড়ানো। বাহিনী গুলোর সক্ষমতা যত বাড়বে দেশ তত নিরাপদ হবে।
র্যাবের পাশাপাশি অন্যান্য বাহিনীও তাদের সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। প্রত্যেক বাহিনী সর্বোচ্চ দিয়ে দেশসেবার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এখানে সংশয়ের কোনো সুযোগ নেই। কোনো বাহিনীর মধ্যে সঙ্গে অপরটির প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব সৃষ্টির দরকার নেই।