জৈন্তাপুর ধান সংগ্রহ করতে হিমসিম খাচ্ছেন কর্মকর্তারা

    0
    234

    স্থান হয়নি খাদ্য গুদামে কৃষকের ধান (?)

    রেজওয়ান করিম সাব্বির,জৈন্তাপুর সিলেট প্রতিনিধি: জৈন্তাপুর উপজেলায় সরকারী খাদ্য গুদামে ধারণ ক্ষমতার চাইতে ধান সংগ্রহের পরিকল্পনা বেশী হওয়াতে স্থান সংকুলান না হওয়ায় চলিত বছরে ধান সংগ্রহ করে মজুদ রাখতে হিমসিম খেতে হচ্ছে স্থানীয় কর্মকর্তাদের। জৈন্তাপুর সরকারি খাদ্য গুদামে ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ৫শ মেট্রিকটন। সরকার হতে চলতি বছরে জৈন্তাপুর উপজেলা ২হাজার ২শত ৬৯মেট্রিকটন ধানের মধ্যে চাল মজুদ লক্ষ্যমাত্র রয়েছে ৪শ ৬৯মেট্রিকটন।

    গত ডিসেম্বর মাসে উপজেলায় সরকারি ভাবে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জৈন্তাপুর খাদ্য গুদামে ৬শ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে বলে উপজেলা সহকারী খাদ্য পরির্দশক রফিকুল ইসলাম জানান।  সরেজমিনে দেখা যায়, খোলা আকাশের নিচে পড়ে রয়েছে  শতাধিক ধানের বস্তা। বৃষ্টি হলে নষ্ট হওয়ার আশংঙ্কা কৃষকের কর্ষ্টাজিত এ সকল ধান। এসবের দায় নিতে রাজি নন উপজেলা খাদ্য পরির্দশক।

    খাদ্য পরির্দশক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী ১হাজার ৭শত ৬৮জন কৃষকের সংগ্রহ কৃত ধান নিজেদের চাহিদা পূরণের পর বিক্রি করতে পারে এমন তথ্যের ভিত্তিতে জৈন্তাপুর উপজেলায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় ২৬ টাকা হারে প্রতি কেজি ধানের মূল্য নির্ধারন করে ১৮শ ১৯ মেট্রিকটন আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। পরর্বতীতে লক্ষ্য মাত্র আরও বৃদ্ধি করে ৪শ ৬৯মেট্রিকটন উর্ণিত করা হয়েছে। এবছর সরাসরি কৃষকদের নিকট হতে ধান সংগ্রহ করতে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে মাইকিং ও ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়। ফলে ধানের দাম ভালো হওয়াতে প্রকৃত কৃষকগণ অনেকটা আগ্রহী হয়ে সরাসরি খাদ্যগুদামে ধান সরবরাহ করতে অনেকেই হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
    সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম জানান, এপর্যন্ত অন্তত ৩শ জন কৃষকের নিকট থেকে ৬শত মেট্রিটন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিদিন কৃষকগণ ধান নিয়ে আসছে সরকারি খাদ্য গুদামে। খাদ্য গুদামে পর্যাপ্ত স্থান সংকুলান না হওয়ায় বারান্দায় ধান মজুদ রাখার ব্যবস্থা করা হয়। ইতোমধ্যে সিলেটের কেবিবিএম অটো রাইসমিলের সাথে সিদ্ধ চাউল ভাঙ্গানোর জন্য চুক্তিবদ্ধ হলে ১শত ৩৫মেট্রিকটন ধান তাদের কাছে সরবরাহ কারার পর মিল মালিক চাউল তৈরী করে পূনরায় গুদামে সরবরাহ করলে ধান সংগ্রহে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মকর্তারা। ধান গুলো দ্রুত স্থানান্তরিত করা না হলে উপজেলা খাদ্য গুদামে মজুদ রাখা অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ছে। স্থানীয় কৃষকগণ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন হতে ধান নিয়ে এসে বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হবে। এছাড়া চলতি বছরে প্রতি কেজি ৩৫টাকা করে আরো ১৭১ মেট্রিকটন আতপ চাল সংগ্রহ করতে সরকারি অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কয়েকজন কৃষক ধান নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছেন। খাদ্য গুদামে জায়গা না থাকায় কৃষকের ধান ওজন দিয়ে গুদামের বাহিরে খোলা আকাশের মধ্যে মজুদ করে রাখা হচ্ছে।
    খাদ্য নিয়ন্ত্রক সিরাজদৌলা জানান, গুদামের ভেতরে পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গা সংকুলান না হওয়ায় সাময়িক ভাবে গুদামের বাহিরে রাখা হয়েছে। গুদাম খালি হওয়ার সাথে সাথে তা ভেতরে নিয়ে রাখা হবে। জৈন্তাপুর উপজেলায় খাদ্য গুদামে স্থান সংকট বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে জানানো হয়েছে। তিনি আরও জানান অনেক কৃষক গ্রামের প্রত্যন্ত অ ল হতে ধান নিয়ে আসে তাই তাদের ফিরিয়ে না দিয়ে আমরা ধান রাখোর চেষ্টা করছি। তিনি আশা করেন সরকারের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। ৪শ ৬৯ মেট্রিকটন চালের পরিবর্তে ধান সংগ্রহ করার সরকারী নিদের্শনা রয়েছে।

    পর্যায়ক্রমে তালিকা ভুক্ত সকল কৃষকের ধান সংগ্রহ করা হবে। বৃষ্টি আসার সম্ভাবনা থাকায় খোলা আকাশের নিচে থাকা ধানগুলো নিয়ে চিন্তিত রয়েছি। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তেই দু-একদিনের মধ্যে সমাধান হবে বলে আমরা আশাবাদী।