আমার সিলেট রিপোর্ট: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রতারণা করে বহুবিবাহে আসক্ত শ্রীমঙ্গলের বরুনা এলাকার তোফায়েলকে অবশেষে ছাত্রী অপহরনের মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।পরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে এর আগেও আরো ৪ নারীকে এভাবে প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করে তাদেরকে প্রতারিত করেছে।
ঘটনার বিবরণ ও পুলিশের সূত্র থেকে জানা যায়,ঢাকা উত্তরা ইউনিভার্সিটির অনার্স ২য় বর্ষে অধ্যায়নরত এক ছাত্রী গত ১৭/১২/২০২ আরো ১২ জন বন্ধু মিলে শ্রীমঙ্গল ঘুরতে আসে।
সে জানান,আমরা যেহেতু নতুন সে আমাদের সাথে গাইড হিসেবে কাজ করে। শ্রীমঙ্গল শহরে ২ দিন ঘুরাফেরা করার পর একপর্যায়ে সে তার প্রতি কুনজর দেয়। বিষয়টি তার চলাফেরা ও আচার-আচরণে বুঝতে পারে। এমতাবস্থায় গত ২০/১২/২০২৫ বিকাল প্রায় ৫ টায় শ্রীমঙ্গল থানাধীন কলেজ রোডস্থ টাইম আউট রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করার পর রেস্টুরেন্টের সামনে আসলে তোফায়েল আহমদ ওই ছাত্রীকে তার বন্ধুদের বিরুদ্ধে তার সম্পর্কে বাজে কথা বলছে বলে ফুঁসলিয়ে সিএনজি অটোরিক্সাতে উঠাইয়া শ্রীমঙ্গল মৌলভীবাজার রোডস্থ ইসাকী এমোস হোটেলের একটি রুমে নিয়া উঠে। সেখানে ৩ দিন রাখার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাকে খুঁজছে এমন ভয় দেখিয়ে ইসাকী এমোস থেকে শমশেরগনর বাজার হইতে ৭ কিলোমিটার দূরে লন্ডন রিসোর্টে নামক একটি রিসোর্টে নিয়ে উঠেন। ম্যানেজারের সহায়তায় একটি রুমে নিয়ে বলে যে আমাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক তৈরি না হলে হোটেলে রুম পাওয়া যাবে না এবং পুলিশ বা সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়লে বাঁচার সুযোগ নেই এ কথা বলে আমার নিকট হইতে কয়েকটি কাগজে দস্তখত নেয়। এরপর ২৫ ডিসেম্বর রাত প্রায় ১১ টার দিকে আমার নিকট এসে জানাই যে তুমি যে কাগজে দস্তখত দিয়েছো সে থেকে তুমি এখন আমার বৈধ স্ত্রী! একথা বলে সে আমার কাপড়-চোপড় খুলে জোরপূর্বক ধর্ষন করার চেষ্টা করে আমি চিৎকার দিলে সে আমাকে ভয় ভীতি দেখিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যায়। সেখান থেকে ২৬ ডিসেম্বর আবার ভয় দেখিয়ে আমাকে শ্রীমঙ্গল কালাপুর ইউনিয়নের ভৈরব গঞ্জ বাজারের জনৈক জালাল উদ্দিন লন্ডনীর বাসায় নিয়ে আসে, সেখান থেকে পড়ে আমার স্বজনেরা আমাকে উদ্ধার করে পুলিশের সহায়তায় থানায় নিয়ে আসে বলে অপহরণের শিকার মেয়েটি জানান।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানার মামলার আইও হারুনুর অর রশিদ আমার সিলেট কে জানান এ ঘটনায় মামলা হয়েছে, অফিসার ইনচার্জ শেখ জহিরুল ইসলাম মুন্না স্যারের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা অপহৃত মেয়েটিকে উদ্ধার করে অভিভাবকের কাছে আইনিভাবে তুলে দিয়েছি।আসামিকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছি। বিজ্ঞ আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন। তিনি আরো জানান গ্রেফতার তোফায়েল এর আগেও আরো চারটি মেয়েকে একই কায়দায় বিবাহের নামে প্রতারণা করে তাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। প্রয়োজন সাপেক্ষ অন্যান্য বিষয়গুলো ও তদন্ত করা হবে।
Subscribe to Updates
Get the latest creative news from FooBar about art, design and business.
