মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলে জোর করে ধরে নিতে চাইলে পালিয়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় পিছন থেকে দৌড়িয়ে গিয়ে সহোদর দুই ভাই কে প্রথমে দুইজন পরবর্তীতে ১০-১২ জনের একটি দল এলাকাবাসীর সামনেই পিটিয়ে নির্দয় ভাবে মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় আহত অবস্থায় একজন সিলেটে চিকিৎসাধীন, তবে সে কোন গ্রুপের এটা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
ঘটনার সূত্রে স্থানীয় ও পুলিশের বিভিন্ন জনের সূত্র থেকে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় দুই ভাই নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অপরপক্ষের জমির উদ্দিন।
শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের বিওসি কেছরিগুল (মাঠগুদাম) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় যদি তোরা স্থানীয় একটি ধর্মীয় রাজনৈতিক দলের সমর্থক বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এ ব্যাপারে কেউ এখনো মুখ খুলেনি। সূত্র দাবি করেছে তাদেরকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রথমে দুইজন পরে আরো প্রায় ১০-১২ জন পৈচাশিক কায়দায় কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
সঙ্ঘবদ্ধ গোষ্ঠীর হামলায় নিহতরা হলেন-বিওসি কেছরিগুল গ্রামের মৃত নিমার আলীর দুই ছেলে-কুয়েত ফেরত জামাল উদ্দিন (৫৫) ও কৃষক আব্দুল কাইয়ুম (৪৮)। আহত ব্যক্তির নাম মো. জমির উদ্দিন। তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুস সবুরের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জামাল উদ্দিন ও কৃষক আব্দুল কাইয়ুমের সঙ্গে জমির উদ্দিন গংদের পূর্ব বিরোধ রয়েছে। এর জেরে শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে তাদের মধ্যে ঝগড়া লাগে। ঘটনাটি শুনে এগিয়ে আসেন কাইয়ুমের বড় ভাই জামাল উদ্দিন। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে জামাল ও কাইয়ুম ঘটনাস্থলে নিহত হন। এসময় প্রতিপক্ষের জমির উদ্দিন আহত হন। তাকে প্রথমে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অপরদিকে পুলিশ বলছে যে কথা,বড়লেখা থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান খান জানান, আমরা ইতোমধ্যে মরদেহ দুটি আমাদের হেফাজতে নিয়েছি। আমরা অংশগ্রহণকারী দুর্বৃত্তদের আমরা শনাক্ত এবং গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। আমাদের একাধিক টিম এ বিষয়ে কাজ করছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আইনি বিষয় প্রক্রিয়াধীন। নিউজ আপডেট
