ছাতক, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী সুনামগঞ্জ–৫ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলনের উদ্যোগে ব্যানার–পোস্টারসহ বিভিন্ন প্রচারণামূলক সামগ্রী অপসারণ কার্যক্রম চলছে।
অগ্রিম প্রচারণা নিষিদ্ধ থাকায় এবং আচরণবিধি লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় প্রার্থীর পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। শুধুমাত্র দলীয় নেতাকর্মীই নন, সাধারণ মানুষও স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।
গত বুধবার রাত ৯টা থেকে গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্ট,ধারনবাজার,বুড়াইরগাও,জাউয়াবাজার
ববাটুকাবাজার, আলীগঞ্জ দোলারবাজার,সিরাজগঞ্জ বাজার ছাতক সদর।পৌরসভা ও দোয়ারাবাজার উপজেলার বিভিন্ন সড়ক, বাজার, বাসস্ট্যান্ড, ইউনিয়ন সদর এবং গ্রামীণ জনপদের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে লাগানো পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও বিভিন্ন বিলবোর্ড খুলে ফেলা শুরু হচ্ছে।
এতে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা সক্রিয়ভাবে অংশ নিলেও এলাকাবাসীর সহযোগিতাও ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্বাচনের প্রচলিত পরিবেশ পরিষ্কার রাখা এবং সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগকে তারা ইতিবাচকভাবে দেখছেন।
দলের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা বিএনপির আহবায়ক ও তিনবারের সাবেক এমপি
বিএনপির মনোনীত প্রার্থী কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন বলেন, “নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মানা প্রতিটি প্রার্থীর নৈতিক দায়িত্ব। একটি অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে আচরণবিধি মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।” তিনি আরও জানান, শুধুমাত্র ব্যানার–পোস্টার অপসারণ নয়, পুরো নির্বাচনি সময় জুড়ে তিনি ও তাঁর কর্মী–সমর্থকেরা আইনসম্মত প্রচারণা বজায় রাখবেন। জনগণের ভোটাধিকার সুরক্ষিত রাখতে ও নির্বাচনি পরিবেশ শান্ত রাখতে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে মনে করছেন, আগে নির্বাচন সামনে এলেই এলাকা জুড়ে অসংখ্য পোস্টার–ব্যানার ঝুলে পরিবেশ নোংরা হয়ে যেত। এবার নির্বাচন কমিশনের কঠোর নির্দেশনা এবং প্রার্থীর উদ্যোগে সেই পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। এতে কেবল সৌন্দর্যই ফিরছে না, বরং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝেও সমান সুযোগ তৈরির পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং সচেতন নাগরিকরা বলছেন, একদিকে যেমন এটি পরিচ্ছন্ন নির্বাচনি পরিবেশ গঠনের ইঙ্গিত দেয়, অন্যদিকে প্রার্থীদের মধ্যে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধও বৃদ্ধি করে। তারা মনে করেন, সুনামগঞ্জ–৫ আসনে শুরু হওয়া এই উদ্যোগ যদি সব প্রার্থী অনুসরণ করেন, তবে পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ, প্রতিযোগিতামূলক ও শান্তিপূর্ণ হবে। সামগ্রিকভাবে, কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলনের নেতৃত্বে শুরু হওয়া এই প্রচারণাসামগ্রী অপসারণ কার্যক্রম ইতোমধ্যেই এলাকায় ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়েছে এবং একটি সুশৃঙ্খল নির্বাচন আয়োজনের প্রত্যাশা আরও জোরদার করেছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো.নজরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আতাউর রহমান এমরান,আশাফুর রহমান এনাম,
বিএনপি নেতা নওসাদ আলী,সাবেক ছাত্র নেতা আমিন উদ্দিন,মুহিবুর রহমান মুহিব,জেলা ছাত্রদলের নেতা ইমন আহমদ,মাহবুর রহমান প্রমুখ।
