“বাড়ির বাহিরে অপ্রয়োজনে বের হলেই করোনা প্রতিরোধে করনীয় বিষয়ে রাস্তাতে দাঁড়িয়ে এক মিনিট বক্তব্য দিতে হচ্ছে”
জহিরুল ইসলাম,নিজস্ব প্রতিবেদক: চৈত্রের কাঠফাটা রৌদ্রে শহরের বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছে র্যাব সদস্যরা। অপ্রয়োজনে যারাই শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে ও মাস্ক ছাড়া বেড়িয়েছে তাদেরকে দাঁড় করিয়ে করোনা বিষয়ে বক্তব্য দেওয়াচ্ছে তারা।
আজ বুধবার দুপুরে শহরের বিভিন্ন স্থানে র্যাবের এই ব্যাতিক্রমী কার্যক্রম করতে দেখা গেছে।
রাস্তার এক পাশ থেকে চিৎকার করে অন্য পাশের লোকজন যাতে শুনতে পারে তেমন ভাবে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে বলতে হচ্ছে তাদের। যাদের মুখে মাস্ক নেই তাদেরকে মাস্ক পরে বের হওয়ার পরামর্শ দিয়ে হাতে তুলে দিচ্ছেন একটি করে মাস্ক। র্যাবের হাতে থেকেই লজ্জা পাওয়ার ভয়ে অনেকেই শহরের ভিতরে অপ্রয়োজনে আসছেন না।করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্প এভাবেই ব্যাতিক্রমী উদ্যোগটি নিয়েছে। যাদের এই কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শ্রীমঙ্গল র্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামীম।
সরেজমিনে দেখা গেছে,ভবঘুরের ন্যায় ঘুরতে থাকা পথচারী ও তরুনকে দাঁড় করিয়ে র্যাব জিজ্ঞেসাবাদ করছে, জানতে চাচ্ছে কেন ঘরের বাহিরে এসেছে ? এদের মধ্যে বেশির ভাগ তরুণই ঔষুধ কেনার জন্য শহরে এসেছে বলে র্যাবকে জানায়।র্যাবের কর্মকর্তা তাদের কাছে কোন ধরনের প্রেসক্রিপশন কিংবা ঔষধ পাননি। পরে তাদেরকে দাঁড় করিয়ে শাস্তি স্বরূপ করোনা ভাইরাসের বিষয়ে এক মিনিট সচেতনতামূলক বক্তব্য দিতে বাধ্য করেছে।
প্রসঙ্গত, এক মিনিট বক্তব্য দেওয়ার সময়ে বুঝা যায় যারা রাস্তায় ঘোরাফেরা করছে তাদের বেশির ভাগই করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত জানে বুঝে তবে মানছে না।
শ্রীমঙ্গল র্যাব-৯ ক্যাম্পের এএসপি মো.আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, শহরে অনেকেই অপ্রয়োজনে আসছেন।যাকেই ধরছি হয় ঔষুধ নয় তো বা বাজার করতে আসছে অজুহাত দিচ্ছে।আমরা অনেক সময় বকাঝকা না করে তাদেরকে দাঁড় করিয়ে চিৎকার করে করোনা প্রতিরোধে কি করতে হবে সেই বিষয়ে বক্তব্য দিতে বলি। অনেকেই লজ্জায় পরে শহরে আর আসবে না বলে আমাদেরকে কথা দিয়েছে।মানুষ নিজেরাই সচেতন না হলে চলবে না। সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে থাকতে হবে।
Md. Anwar Hossan তিনি তার এফবি আইডিতে লিখেন:
“সবই বোঝেন, সবই জানেন। তবুও নানা ছুতায় পুলিশ- র্যাবকে ফাঁকি দিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়িয়ে নিজের বীরত্ব জাহির করতে হবে। বন্ধুমহলে নিজের ইমেজ বাড়িয়ে নিতে হলে এর কোন বিকল্প নেই।
মনে রাখবেন, আমাদেরকে ফাঁকি দিতে গিয়ে নিজের জীবনটাই আবার ফাঁকির ফাঁদে ফেলে দিচ্ছেন না তো ! আমাদের সাথে মজার ইঁদুর-বেড়াল খেলতে গিয়ে নিজের জীবনকেই খরচের খাতায় লিখে দিচ্ছেন না তো ? সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক।”
এইভাবে প্রতিদিন তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডিউটির পাশাপাশি সচেতনতামূলক লিখা প্রচার করছে দেশের মানুষ সচেতন করার লক্ষ্যে।