আইন প্রণয়নের ত্রুটির কারণে মামলার জট বাড়ছেঃবিচারপতি

    0
    192

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১০ফেব্রুয়ারী,আলী হোসেন রাজনঃ  প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা গনতন্ত্র ও আইনের শাসনের উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেন আমাদের দেশে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত দেশের কোন জায়গায় অনুষ্ঠানে গেলে আমাদের মিডিয়া ও রাজনীতিবীদরা তাকে তোষামোদ করতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। অথচ তিনি সে দেশের ৪র্থ,৫ম কিংবা ৬ষ্ট শ্রেণীর একজন কর্মকর্তা। তিনি কিন্তু সে দেশের প্রেসিডেন্টের সাথে সরাসরি দেখা করে কথা বলারও অধিকার রাখেন না। এর কারণ সে দেশে আইনের শাসন রয়েছে, সম্পদ আছে, জ্ঞানের চর্চাও আছে। সে জন্যই তারা আজ দুনিয়া জুড়ে মুড়ালিপনা করছে। এটা কিন্তু এক দিনে হয়নি।

    ৯ ফেব্রয়ারি বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় পৌর জনমিলন কেন্দ্রে মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নৈশভোজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি পত্রিকা পড়ে জানতে পারলাম একজন মাননীয় মহিলা সংসদ সদস্য আমার সম্পর্কে বলেছেন আমি না কি বেশি কথা বলছি। আমার কাজ মামলা শুনানী ও রায় লিখা। তিনি সংসদ সদস্যের এমন কথা বলার প্রেক্ষিতে প্রশ্ন রেখে বলেন আমি একটুও কথা বলতে চাইনা। কিন্তু আপনার কি আপনাদের দ্বায়িত্ব পালন করতে পারছেন। আইন প্রণয়নে আজকে দেশে প্রত্যেকটা আইনে বিচার করতে গেলেই আমরা জামেলায় পড়ছি। কোন আইনই আমরা ঠিক মতো পাচ্ছিনা। প্রত্যেকটি আইনই ত্রুটিপূর্ণ। এই ত্রুটিপূর্ণ আইন হওয়ায়  মামলা বেড়ে যাচ্ছে।

    তিনি গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আইনের নানা ত্রুটির বিষয় উল্লেখ করে বলেন একারনেই ওই সময় নির্বাচন সংক্রান্ত হাজার হাজার মামলা পড়েছে। সংসদ সদ্যসদের ইঙ্গিত করে বলেন বিচার বিভাগকে যদি আপনারা হস্তক্ষেপ না করতেন তাহলে মামলার এত জট হত না। পৃথিবির সকল দেশই বিচার বিভাগকে দমিয়ে রাখার চেষ্ঠা করা হচ্ছে এ বিষয়ে তিনি আমেরিকার ফেডারেল কোটের দেওয়া একটি রায়ের প্রসঙ্গ টেনে বলেন সারা পৃথিবিই তাকিয়ে আছে আমেরিকার বিচার বিভাগের দিকে।

    পৃথিবি জুড়ে যে অরাজকতা হয় তা কিন্তু বিচার বিভাগের উপরই বর্তায়। দেশের কান্তি লগ্নে সে দেশকেই কিন্তু বিচার বিভাগই রক্ষা করে।এ ছাড়াও তিনি বিচার বিভাগের সাথে পুলিশ বিভাগের অঙ্গাঅঙ্গি সর্ম্পকের কথা উল্লেখ করে বলেন আমরা বিচার করতে গিয়ে, বিচার করতে পারছিনা। এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলা আমরা পাচ্ছি এগুলোর ইনভেশটিকেশন ও প্রসিকিউশনে ক্রটি পাচ্ছি। আমি বাধ্য হয়ে পুলিশ হেডকোয়াটারে গিয়ে এ কথাগুলো বলেছি।

    এ সমস্যা নিরসনে পুলিশ বিচার বিভাগ থেকে সহায়তা চাইলে যে কোন স্থানে গিয়ে সহায়তা দেয়ার কথা জানান। মৌলভীবাজার জেলা বারের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে  ও সাধারন সম্পাদক কামরেল আহমদ চৌধুরীর স ালনায় নৈশভোজ পূর্ব আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন  সংসদ সদস্য সৈয়দা সায়রা মহসীন, হাইকোর্টের রেজিষ্টার সৈয়দ দিলজার আহমদ ,জেলা ও দায়রা জজ শফিকুল ইসলাম ও আইনজীবীবৃন্দ।