আল্লাহ যেনো শহীদদের রহম করেন,মুরসির মৃত্যুতে এরদোগান

    0
    237

    মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।

    আজ (সোমবার) মুরসির মৃত্যুর পর, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এরদোগান বলেন: গাড়ী থেকে নামার সময় আমার কাছে মুরসির মৃত্যুর খবর আসে। আমরা আল্লাহর কাছে আমাদের শহীদ ভাইদের জন্যে দোয়া করছি, আল্লাহ যেনো শহীদদের ওপর রহম করেন। আদালতের এজলাসেই তার মৃত্যু হয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি আল্লাহর কাছেই রহমত কামনা করি।

    প্রসঙ্গত, সোমবার মিসরের একটি আদালতের এজলাসেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন দেশটিতে প্রথমবারের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।

    মিসরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন মুরসির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তাতে বলা হয়, সাবেক প্রেসিডেন্ট বিচারকের কাছে কথা বলার অনুমতি চাইলে, তাকে কথা বলতে অনুমতি দেওয়া হয়েছিলো। এ সময় তিনি বুকে ব্যাথা অনুভব করেন। এক পর্যায়ে তিনি হার্টঅ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মুরসির লাশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

    মুরসির ছেলে আহমদ নাজাল ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাতে তিনি লেখেন, আমার বাবা আল্লাহর কাছে চলে গিয়েছেন।

    উল্লেখ্য, ২০১১ সালে আরব বসন্তের জেরে মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠে বিশাল গণঅভ্যুত্থান। এতে পদচ্যুত হন হোসনি মোবারক। এরপর মিসরের প্রথম অবাধ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ব্রাদারহুডের মুরসি। কিন্তু ২০১৩ সালে গণঅসন্তোষের সুযোগ নিয়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিসরীয় সেনাবাহিনী। পরে প্রেসিডেন্টের মসনদে বসেন মুরসির হাতে সেনাপ্রধান হওয়া আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি।

    ২০১৩ সালে মুরসির নেতৃত্বাধীন মুসলিম ব্রাদারহুড নিষিদ্ধ করা হয়। এর হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয় এবং বিভিন্ন অভিযোগে অনেককে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। মুরসির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো, তিনি অর্থের বিনিময়ে কাতারের কাছে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নথি পাচার করেছেন।

    ২০১৪ সালে তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়েছিলো। এরপর ২০১৬ সালের জুনে তথ্য পাচারের এ মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন নিম্ন আদালত। আদালত দেশের গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচারের অভিযোগে মুরসিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। সূত্র: আনাদলু ও ডেইলি সাবাহ আরবি।