কমলগঞ্জে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সিনহা

    0
    143

    “অ-মুক্তিযোদ্ধা কেউ যেন জাতির সূর্য্য সন্তানদের খাতায় নাম লেখাতে না পারে”প্রধান বিচারপতি

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১০মার্চ,জহিরুল ইসলাম,কমলগঞ্জ থেকে ফিরেঃ  শুক্রবার বিকেলে কমলগঞ্জের ভানুগাছ বাজারে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বলেন, স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরও মনে একটা প্রশ্ন জাগে কে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ? ভারতে মুক্তিযোদ্ধারা ভিআইপিভাবে সব ধরণের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন, তাদের চিকিৎসা স্পেশাল, রেল, বিমানের টিকেট সহ আরোও অন্যান্য সুবিধা অন্তর্ভুক্ত আছে । থানা ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডাররা সরকারের কাছে আবেদন রাখুন, যাতে করে কোনমতেই অ-মুক্তিযোদ্ধা কেউ জাতির এই সুর্যসন্তানদের খাতায় নাম লেখাতে না পারে এবং যেন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা সঠিকভাবে নির্ণয় করে, ভিভিআইপির মর্যাদা প্রদান ও  বিশেষ কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়।

    উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা ও দায়রা জজ মো: শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মো: তোফায়েল ইসলাম, বিজিবি শ্রীমঙ্গল সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল আশরাফুল ইসলাম, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম নাসির উদ্দিন, মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার শাহ জালাল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো: জামাল উদ্দিন, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রফিকুর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মুমিন তরফদারসহ প্রমুখ ।

    এ সময় বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিন্হা আরোও বলেন, যারা স্বাধীনতার যুদ্ধের বিরুদ্ধে চক্রান্ত তারাই আবার ক্ষমতায় চলে আসে। স্বাধীনতার মুল স্থপতি সহ তাঁর পরিবারকে হত্যা করা হয়েছিল। যে কোন অপরাধ কেউ করে থাকলে তার বিচার হয়েছে এবং হবে, অপরাধীর কে তার শাস্তি পেতে হবে, একদিন না একদিন তাকে বিচারের কাঠগড়ায় যেতে হয়েছে। স্বাধীনতার ৪৫/৪৬ বছরে পরেও এখনোও একটা প্রশ্ন জাগে কে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কে নয়?। মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী লক্ষ লক্ষ ছিল এই সব কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় সরকারের বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করেছেন। যে ছেলের জন্ম হয়নি সে মুজিব নগর সরকারের কর্মচারী ছিল। যার বয়স দুই আড়াই বছর ছিল সে মুজিবনগর সরকারের সুবিধা নিয়েছিল। এ সংক্রান্ত রায় আমরা বাতিল করেছি এবং বললাম যে পুর্নবিবেচনা করব। ঠিক তেমনি, সঠিক মুক্তিযোদ্ধার তালিকা নিরুপন করা উচিত।
    শুক্রবার বিকেল চারটায় কমলগঞ্জের ভাণুগাছ বাজারের ১০ নং রোড সংলগ্ন এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এর ভিত্তি প্রস্তর অনুষ্টানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিশেষ অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ তোফায়েল আহমেদ,মৌলভীবাজার জেলা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট  এ কিউ এম নাসির উদ্দিন, উপজেলা নিবার্হী কর্মকতা মাহমুদুল আহমেদ,বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল আশরাফুর ইসলাম,মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহ জালাল, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।