কুলাউড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনা,উদ্ধার ৬ মৃত দেহ,আহত দুই শতাধিক

    0
    288

    “নাশকতা না দুর্ঘটনা এমন সন্দেহ তৈরি হয়েছে জনমনে”

     

    রোববার দিবাগত রাতে সিলেট থেকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি কুলাউড়ার বরমচাল রেলক্রসিং এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে মারাক্তক দূর্ঘটনা ঘটে। ট্রেনের পেছনের বগি ছিটকে নিচের খালে পড়ে গেছে এতে প্রাথমিক ভাবে একটি সুত্রে ৬ জন এবং অপর একটি সুত্রে ৪ জনের লাশ উদ্ধারের সংবাদ পাওয়া গেছে।

    স্থানীয়রা জানান , এ ঘটনায় নিহত আহতের সংখ্যা এখনো জানা যায়নি তবে ধারনা করা হচ্ছে  বহু লোকের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। আহত হয়েছেন বহু লোক। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস পৌঁছেছে। উদ্বার কাজ চলছে। 

    ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, রবিবার রাত পৌণে ১২টার দিকে ট্রেনটির দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে খালে পড়ে যায় এবং একটি বগি উল্টে যায়। এ দুর্ঘটনায় নারীসহ ৬ জন নিহত ও অন্তত দুই শতাধিক যাত্রী আহতের খবর পাওয়া গেছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

    রবিবার দিবাগত রাত সোয়া ২টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট ও পুলিশের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৩০ সদস্যের একটি টিম যোগ দিয়েছে উদ্ধার কাজে। ৪৬-বিজিবি শ্রীমঙ্গলের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহ জাহান আলী ও মৌলভীবাজার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. হেলাল আহমেদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা “নাশকতা না দুর্ঘটনা এমন সন্দেহ তৈরি হয়েছে জনমনে” ফলে নাশকতা না দুর্ঘটনা তা তদন্ত করবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এমন খবরও পাওয়া গেছে।

    এদিকে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে ৬টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শাহজালাল গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার ডা. নূরুল হক জানান, এখন পর্যন্ত এ হাসপাতালে নারীসহ ৪ জনের মরদেহ আনা হয়েছে। আহতাবস্থায় ভর্তি রয়েছে আরও ৬০ জন।

    জানা গেছে, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে ভারী যান চলাচল বন্ধ থাকায় ট্রেনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন ঢাকাগামী যাত্রীরা। ফলে কয়েক দিন ধরে ধারণক্ষমতার চেয়েও বেশি যাত্রী নিয়ে সিলেট থেকে ট্রেন গুলো ছেড়ে যায়।