কেউ খোঁজ না নিলেও তাহিরপুরের ইউএনও ভুলেনি

    0
    223

    তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: বর্তমান করোনা ভাইরাসের এই সময়ে সবাই যখন নিজ নিজ বাড়িতে অবরোদ্ধ তখন জীবন রক্ষার জন্য ভিক্ষা করতে বের হন ৬০উর্ধ লিলজান বেগম। বর্তমান করোনা ভাইরাস দূর্যোগ সময়ে সরকার ত্রান সামগ্রী দিলেও তিনি পান নি। খোঁজ নিয়ে ত্রানও দেন ইউপি সদস্য বিলাল মিয়া। ফলে বাধ্য হয়ে প্রতিদিনের মত তিনি রবিবার সকালে সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করতে বের হন লিলজান বেগম।
    লিলজান বেগম সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের উজান জামালগড় গ্রামে মেয়ের বাড়িতে বসবাস করেন। আর উপজেলায় ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন যাপন করেন তিনি।
    এই বিষয়টি তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জী’র নজরে আসলে তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের দায়িত্বরত স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে ত্রাণ সামগ্রী দিয়ে উজান জামালগড় গ্রামের বাড়িতে পাঠান। ত্রাণ সামগ্রীর প্যাকেটে ছিল,১০কেজি চাল,১কেজি ডাল,২কেজি আলু,১কেজি লবণ,আধাকেজি সয়াবিন তেল। ত্রান পেয়ে আনন্দিত লিলজান বেগম।
    স্বেচ্ছাসেবক ধীমান চন্দ ও মনিরাজ শাহ জানায়,উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যারের নির্দেশনায় ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে লীলজানবানুর বাড়িতে রবিবার বিকেলে দিয়ে এসেছি।

    এর পূর্বে সকালে তাহিরপুর উপজেলা মধ্য তাহিরপুর গ্রামের মেহেদী হাসান উজ্জল নামে এক ব্যাক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে নিজস্ব আইডিতে তিনি লিখেছেন,কি হবে লকডাউন আর হোমকোয়ারেন্টি দিয়ে আজ এই বৃদ্ধমহিলা ভিক্ষা করতে আসছে। জিজ্ঞাসা করলাম সরকারী সাহায্য কি আপনাকে দেয় না। উনি বললেন দিলে কি আর এই অবস্থায় মাঝে কি ভিক্ষা করতে আইছি।
    সম্মানীত ইউএনও মহোদয়ের(তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জিকে)দৃষ্টি আকর্ষন করছি। এই মহিলার বাড়ী উজান জামালগড়,নাম-লিলজান বেগম স্বামী-অলি মাহমুদ,ইউপি তাহিরপুর সদর।
    তিনি আরো লিখেন,ইউপি সদস্য বিলাল মিয়ার চোখে কি এই ভিখারী মহিলাটা সাহায্য পাওয়ার উপযোগী মনে হয় না ?