গত দুদিনে চীনে করোনা আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে

    0
    237

    গত ক’দিনে চীন থেকে আগত চীনা নাগরিকসহ ৭২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে নিয়মি

    ছবি সংগৃহীত

    ত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে তিনি জানান, গত দুদিনে চীনে করোনা আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। তবে সেখানে শীতকালীন ছুটি শেষ হলে দেশটিতে করোনার প্রকোপ বাড়তে পারে; তাই সতর্ক থাকার পরামর্শ  দিয়েছেন তিনি।

    এদিকে, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত না হলেও চীনের পার্শবর্তী দেশ জাপান, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ভারত, নেপালসহ বিভিন্ন দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে।

    ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা

    করোনা ভাইরাস আতঙ্কে বাংলাদেশ থেকে শুধু চীন নয়; মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, দিল্লি, নেপালসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রীদের ভ্রমণ কমে গেছে। কমেছে ভরা মৌসুমে পর্যটকদের আগমনও। অনেক বিদেশি পর্যটক যাত্রা বাতিল করায় ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশের ট্যুর অপারেটর ও অভিজাত হোটেলগুলো।

    যাত্রী অর্ধেকে নেমে আসায় এশিয়ার বিভিন্ন রুটে ফ্লাইট কমিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ বিমান। সিঙ্গাপুরে ফ্লাইট কমাচ্ছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স। বাংলাদেশ থেকে চীনে ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে চায়না সাউদার্ন। দেশটিতে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনাকারী আরো তিনটি এয়ারলাইন্সও ফ্লাইট কমিয়ে দিয়েছে।

    বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাব্বির হোসেন বলেন, কাঠমান্ডু, ব্যাংকক ও কুয়ালালামপুরে যাত্রী সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। যাত্রী সংখ্যা ৫০ শতাংশেরও বেশি কমে যাওয়ায় আমরা ফ্রিকোয়েন্সি কমিয়েছি।
    শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তৌহিদ-উল আহসান বলেন, প্রতিদিন যেখানে ২৬০টির মতো ফ্লাইট ওঠানামা করত সেখানে ফ্লাইট সংখ্যা কমলে রাজস্বও কমে যাবে।

    করোনার ভয়ে অনেক বিদেশি পর্যটক ও বাণিজ্য প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে ভ্রমণ বাতিল করায় ক্ষতির মুখে পড়েছে ট্যুর অপারেটররা। পর্যটনের ভরা মৌসুমে ফাঁকা থাকছে অভিজাত হোটেলগুলো।

    প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব তৌফিক রহমান বলেন, বাংলাদেশে বুকিং করাই ছিল এমন ৮ থেকে ১০ হাজার পর্যটক আসেনি। এছাড়া ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বুকিংও হ্রাস পেয়েছে। ১০০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হবে।
    বিদেশিদের আস্থা ফেরাতে সংক্রমণ রোধে সরকারি উদ্যোগগুলো ব্যাপকভাবে প্রচারের আহবান বিশ্লেষকের।পার্সটুডে