আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৭মেঃ রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় মাইক্রোবাসে নৃজাতিগোষ্ঠীর গারো তরুণী গণধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে র্যাব। তাদের মধ্যে দুজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- ধর্ষক আশরাফ ওরফে তুষার ও মাইক্রোবাসের চালক লাভলু। অন্যজনের নাম জানা যায়নি।
আজ বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক আবুল কালাম আজাদ। তবে তাদের কখন ও কোথায় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা নিশ্চিত করেন তিনি। র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলকে শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে।
র্যাবের গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক এসএমএসে বলা হয়, আজ দুপুর ১২টার দিকে র্যাবের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
গত ২১ মে রাতে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে ওই গারো তরুণীকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। তরুণীটি যমুনা ফিউচার পার্কের শপিংমলের টেক্সটমার্কের শাখায় বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করতো।
এ ঘটনার পর শুক্রবার রাজধানীর ভাটারা থানায় মামলা করেন ওই তরুণী। কর্মস্থল থেকে বের হওয়ার পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুড়িল রোডে সিনহা মোটর্সের সামনে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ঠিক তখনই কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগে তাকে ছাই কালারের একটি মাইক্রোবাসে ওঠিয়ে নেয় ধর্ষকরা। পরে তাকে চলন্ত গাড়িতে গণধর্ষণ করা হয়।
নির্যাতিত নারী ২২ মে রাজধানীর ভাটারা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই তরুণী একজনের নাম জানিয়েছিলেন।
গতকাল সকালে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে ওই নির্যাতিতা তরুণীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। দীর্ঘ সময় তরুণীর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি। ওই সময়ে তাকে কিছু ছবি দেখান তিনি। যা যমুনা ফিউচার পার্কের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে নেয়া। এসব ছবি দেখে এক দর্শককে শনাক্ত করেছেন তরুণী। ঘটনার কয়েক দিন আগে ভিনদেশী দুই ব্যক্তির সঙ্গে যমুনা ফিউচার পার্কে তরুণীর কর্মস্থলে গিয়েছিলেন ওই যুবক।ইরনা