চা-বাগান গুলোতে অবাধে তৈরী হচ্ছে চোলাই মদ

    0
    265

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৭নভেম্বর,ফারুক মাহমুদঃ চুনারুঘাট উপজেলার চা বাগানগুলোতে অবাধে তৈরী হচ্ছে চোলাই মদ। এ সমস্ত মদ বাগানের চাহিদা পূরণ করে প্লাস্টিক কন্টিনার এবং মিনারেল পানির বোতলে করে উপজেলার বস্তি এলাকার উঠতি বয়সের যুবকদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে নানা পথে।

    এ জাতীয় মদ খেয়ে চা শ্রমিকরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু প্রতিকারের কোন ব্যবস্থা নেই। গত ৪ ও ৫ নভেম্বর শুক্র ও শনিবার পারকুল, চান্দপুর, চন্ডিছড়া, নাছিমাবাদ, শ্রীবাড়ি, ছড়াগাঁও চা বাগান এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, এ সমস্ত বাগানে অসংখ্য চা শ্রমিকদের বাড়িতে গড়ে উঠেছে চোলাই মদের কারখানা, শ্রমিকরা প্রকাশ্যে এ ব্যবসার প্রসার ঘটাচ্ছে। কিন্তু নারবেকাটিক্স বিভাগ নীরব।

    পারকুল চা বাগানে ১২টি, নাছিমাবাদ চা বাগানে ৯টি, চাঁন্দপুর চা বাগানে ২৬টি, চন্ডিছড়া ১৬টি, চাকলাপুঞ্জি ৫টি, শ্রীবাড়ি ২৯টি চা শ্রমিকদের বাড়িতে রয়েছে এ জাতীয় মদের কারখানা। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকেই বাগান ও বস্তিতে চলে এ সমস্ত মদ খাওয়ার প্রতিযোগীতা। এগুলো দামে সস্তা ও খুব বেশি নেশা হওয়ায় চা শ্রমিকরা এ জাতীয় মরণ নেশায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছে।

    এ জাতীয় চোলাই মদ তৈরী হচ্ছে পঁচা গুড়, বিষাক্ত গাছ-গাছালী, চাল, বাসী ভাত, এ জাতীয় এবং অতিরিক্ত নেশা হওয়ার জন্য এক জাতীয় মুলি, সার এ সমস্ত উপকরণ দ্রুত পচনের জন্য ইউরিয়া সার ও সুহাগা দেয়া হয়। যা পান করলে লিভার সিরোসিস, রাতকানা রোগ সহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এ সমস্ত নিম্ন মানের মদ উপজেলার বিভিন্ন চা বাগানে প্রতিদিন দেদারছে বিক্রি হচ্ছে।

    কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যাপারে নীরব। স্থানীয় নারবেকাটিক্স বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তার গোপন আতাতে এ সমস্ত চোলাই মদের কারখানা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে বাগানগুলোর বৈধ মদের পাট্রায় বিক্রি কমে আসছে। সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। পূর্বে চুনারুঘাট উপজেলা সদরে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি কার্যালয় ছিল তখন তারা মাঝে মধ্যে বাগানে অভিযান চালাত।

    মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়টি হবিগঞ্জে স্থানান্তর হওয়াতে এখন তাদের চুনারুঘাটের চা বাগানে অভিযান চালানোর মত কোন কার্যক্রম চোখে পড়েনি। চুনারুঘাট উপজেলাকে মাদকমুক্ত রাখতে চুনারুঘাট থানার ওসি নির্মলেন্দু চক্রবর্তীর নেতৃত্বে থানা পুলিশ উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক সেবনকারী ও মাদক ব্যবসায়ীদেরকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

    কিন্তু চা বাগানগুলোতে অবাদে চোলাই মদ তৈরির কারখানার বিরুদ্ধে প্রশাসনের কোন কার্যক্রম তেমন দেখা যায়নি। মাঝে মধ্যে ২/১টি অভিযান চালালেও যা লোক দেখানো ছাড়া কিছুই নয়।