চুনারুঘাটের ৩০ টি স্পটে মাদক ব্যবসা:প্রশাসন নির্বিকার

    0
    222

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,০১জুন,স্টাফ রিপোর্টারঃচুনারুঘাট উপজেলায় বেড়েই চলেছে মাদক ব্যবসা। স্থানীয় কতিপয় রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় তারা আইনশৃংখলা বাহিনীর ধরাছোয়ার বাইরে থাকছে। এতে অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।

    এক্ষেত্রে আইনশৃংখলা বাহিনীর কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মাসোহারা নেয়ার অভিযোগ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী। শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, যুবক-যুবতী, তরুণ, শিশুরাও মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। ফলে নেশার টাকা যোগাড় করতে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, প্রতারণা করে অর্থ যোগাড় করছে মাদকসেবীরা।

    অনুসন্ধানে জানা গেছে,চুনারুঘাট উপজেলা সদরের কলেজ রোড ও মুড়ারবন্দ মাজারের আশপাশসহ প্রায় ৩০টি স্পটে অর্ধশতাধিক নারী ও পুরুষ মাদকদ্রব্য বিক্রি করছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এসব এলাকায় সকালে ও রাতে জমজমাট মাদক বিক্রি ও সেবন চলে। সন্ধ্যার পর গ্রামের অন্ধকার সড়কে জমে ১৫ বছর বয়সী কিশোর থেকে ৩৫/৪০ বছরের নেশাখোরদের ভিড়। কিছু কিছু রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ম্যানেজ করে চলছে এ অবৈধ ব্যবসা।

    উপজেলা সদর ও ইউনিয়ন পর্যায়ে এ ব্যবসার সঙ্গে কিছু অসাধু রাজনৈতিক নেতাও জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের অসহায়ত্তের নানা চিত্র। এর মধ্যে রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপ প্রধান কারণ বলে তারা উল্লেখ করেন।

    অন্যদিকে মাদক ব্যবসায়ীরা হাজতবাস করে বেরিয়ে আসার পর আবার শুরু করে মাদক ব্যবসা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে ধনাঢ্য পরিবারে মাদকসেবী সন্তানদের মানিব্যাগেই এখন ইয়াবা ট্যাবলেট, পোড়ানোর জন্য ফয়েল পেপার-গ্যাসলাইট বহন করে থাকে। আর চুনারুঘাটে এখন সহজলভ্য হয়ে উঠছে ইয়াবার ব্যবসা। মোবাইল ফোনের নির্দেশনার মাধ্যমে নির্দিষ্ট জায়গায় খুচরা বিক্রেতারা ইয়াবা ট্যাবলেট পৌঁছে দিচ্ছে।এলাকার সচেতন মহলের দাবী দ্রুত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যাবস্থা না করলে সমাজের যুব সমাজ ধবংশের দিকে চলে যাবে।