চুনারুঘাটে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগে র‍্যাব সদস্য গ্রেপ্তার

    0
    193

    হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে দুলা মিয়া (৪০) নামে এক যুবককে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে। এক মাস আগে তিনি অপহরণ হয়েছিলেন। এঘটনায় তার চাচা র‍্যাব সদস্য সাদেক মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। ১৫ জুলাই সোমবার চুনারুঘাট থানার (ওসি) শেখ নাজমুল হক, ওসি (তদন্ত) আলী আশরাফ ও এসআই এস এম নাজমুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ  ঢাকার জুরাইন কবরস্থান থেকে অপহৃত দুলা মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করতে যান। ১৭ জুলাই বুধবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কে নিয়ে দুলা মিয়ার মরদেহ জুরাইন কবরস্থান থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে।

    জানা গেছে,সাদেক মিয়া বিজিবি সদস্য ছিলেন বর্তমানে তিনি ঢাকা র্যাব -২ -এর কর্মকর্তা থাকা অবস্থায় ১৬ জুলাই মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭.২০ মিঃ সময়ে হবিগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম সাদেক মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।

    ১৩ জুলাই শনিবার চুনারুঘাট থানা পুলিশ দুলা মিয়া অপহরণের ঘটনায় মামুন মিয়া নামে এক যুবককে ঢাকার হাজারীবাগ থেকে গ্রেপ্তার করে এবং অপহরণের ব্যবহৃত মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে। পরদিন হবিগঞ্জ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

    আদালতে মামুন বলেছেন-র্যাব সদস্য সাদেক মিয়া তাদের কয়েকজনকে ভাড়া করে দুলা মিয়াকে অপহরণ করিয়ে হত্যা করে। দুলা মিয়াকে হত্যা করে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। চুনারুঘাট থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাজমুল হক মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের জানান, ঢাকার হাজারীবাগ থানা পুলিশ বুড়িগঙ্গা নদী থেকে দুলা মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে। ৫ দিন  হাজারীবাগ থানা পুলিশ দুলা মিয়ার মরদেহ তাদের হেফাজতে রেখে অজ্ঞাত মরদেহ হিসেবে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করেন। নিহত দুলা মিয়া উপজেলা শানখলা ইউনিয়নের পাট্রাশরীফ গ্রামের মকসুদ আলীর পুত্র।

    গত ১৭ জুন টমটম গাড়িতে স্হানীয় শাকির মোহাম্মদ বাজার থেকে নিজ বাড়ি পাট্রাশরীফ আসার সময় তালতলা বাজারে মাইক্রোবাস দিয়ে তার পথরোধ করা হয়। মাইক্রোবাসে থাকা ৪-৫ জন আইন -শৃঙ্খলা বাহিনীর লোক পরিচয় দিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায়।

    এরপর তার কোনো খোঁজ না পেয়ে স্বজনরা ২০জুন পাট্রাশরীফ গ্রামের আব্দুর রহিমের পুত্র র্যাব সদস্য সাদেক মিয়া তার ভাই রফিক মিয়া, পাশের বাড়ি আব্দুল মতিন, রোমান মিয়া ও সাকিল মিয়াকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। তিনি সাংবাদিকদের আরও জানান, আব্দুর রহিমের পুত্র র্যাব সদস্য সাদেক মিয়া তার ভাই রফিক মিয়া, পাশের বাড়ি আব্দুল মতিন, রোমান মিয়া ও সাকিল মিয়ার সাথে নিহত দুলা মিয়ার জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল।

    এরই সূত্র ধরে এঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা বিভাগীয় অনুমতি নিয়ে ১৭ জুলাই বুধবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটকে নিয়ে দুলা মিয়ার মরদেহ জুরাইন কবরস্থান থেকে উদ্ধার করি এবং ১৬ জুলাই মঙ্গলবার র্যাব সদস্য সাদেক মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুলা মিয়ার মরদেহ নিয়ে আসা হচ্ছে। ওসি জানান, অপহরণের সব ঘটনা বেরিয়ে এসেছে। আজ বুধবার দুপুর ১২টায় সাদেক মিয়াকে হবিগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে হাজির করা হয়েছে।