চুনারুঘাটে ছায়া বৃক্ষ পাচার,হুমকির মুখে চা শিল্প

    0
    205

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৯নভেম্বর,ফারুক মাহমুদঃ চুনারুঘাট উপজেলার সরকারি ও বেসরকারি ১৭টি চা বাগান থেকে রাতের আঁধারে পাচার হয়ে যাচ্ছে ছায়াবৃক্ষ। ফলে চা শিল্পের চরম বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উপজেলার ন্যাশনাল টি কোম্পানির সরকারি বাগানসহ ১৭টি চা বাগান থেকে রাতের আঁধারে পাচার হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান ছায়াবৃক্ষ। উপজেলার চান্দপুর, চাকলাপুঞ্জি, পারকুল ও নাছিমাবাদ, শ্রীবাড়ি, দারাগাঁও, হাতিমারা, দেউন্দি, লস্করপুর চা বাগান এলাকায় গাছ চোর চক্র ইদানিং সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

    ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়ক এবং পূর্বা লের রানীগাঁও-সাটিয়াজুরী রোড দিয়ে পাচার হচ্ছে এসব গাছ। পাচার হওয়ার পরে এসব মূল্যবান গাছ চুনারুঘাট ও মিরপুর বাজারের বিভিন্ন স’মিলে ছিড়িয়ে বিভিন্ন সাইজের করা হচ্ছে কাঠ। প্রতিটি চা বাগানে রয়েছে ৩০/৩৫ জনের পাহারাদার। পাহারা দিয়েও গাছ চোরচক্রের হাত থেকে বাগান কর্তৃপক্ষ বাগানের মূল্যবান ছায়া বৃক্ষ রক্ষা করতে পারছেন না। রাতের আধারে সংঘবদ্ধ গাছ চোরেরা এক সঙ্গে বাগান এলাকায় প্রবেশ করে গাছ কেটে নিয়ে যায়। অনেক সময় প্রহরীরা ভয়ে তাদের প্রতিরোধ করতে আসে না।

    সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, ইদানিং আবারও এলাকার গাছ চোরচক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতি সপ্তাহেই বাগানের ছায়াবৃক্ষ কেটে নেওয়া হচ্ছে। ফলে চা গাছের কুঁড়িও রোদে পুড়ে যায়। চা উৎপাদন হচ্ছে খুবই কম, আর গুণগত মানও হারাচ্ছে এসব বাগানের উৎপাদিত চা। পূর্বে বন বিভাগের টহল বাহিনী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বনা ল ও চা বাগানের চোরাইকৃত গাছ উদ্ধারের চিত্র দেখা গেলেও বর্তমানে তাদের উল্লেখযোগ্য কোন কার্যক্রম চোখে পড়েনি।

    সম্প্রতি বনাঞ্চল ও চা বাগান এলাকা থেকে গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় ট্রলি ও ট্রাক ভর্তি গাছ বন বিভাগ ও থানা পুলিশ আটকের বেশ কিছু ঘটনা ঘটলেও বর্তমানে পাচারকারীরা বন বিভাগের অধরাই রয়েছে। এভাবে চা বাগানে সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্র সক্রিয় থাকলে চা শিল্প ধংস হয়ে যাবে এমন মন্তব্য করেছেন অভিজ্ঞমহল।