চুনারুঘাট প্রতিনিধি: চুনারুঘাট উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের হলদিউড়া গ্রামের আব্দুল মজিদের পুত্র জুবাইর মিয়া (২২), সাহেদ মিয়া (২১), তাজুল মিয়া (২৫) দেরকে বেধড়ক পিটিয়ে সাহেদ মিয়ার নাক, জামাতা জুবায়েরের বাম হাত ও তাজুল মিয়ার হাতের কবজি ভেঙ্গে দিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনরা। জানা যায়, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের উজ্জলপুর গ্রামে জুবাইর মিয়ার শ্বশুরবাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।
আহতদের আত্মচিৎকারে স্থানীয় এলাকাবাসীরা এগিয়ে এসে উদ্ধার করে গুরুতর আশংকাজনক অবস্থায় চুনারুঘাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত জুবাইর মিয়া জানান, উপজেলার উজ্জলপুর গ্রামের মৃত আব্দুল ছালামের কন্যা আকলিমা আক্তারের সাথে জুবাইর মিয়ার ০২ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে একটি ৪০ দিনের পুত্র সন্তান রয়েছে। জুবাইর মিয়া মৌলভীবাজার শহরে হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করেন।
জুবাইর মিয়া সহ তাহার ০৩ ভাই সাহেদ মিয়া, তাজুল মিয়াগণ পুত্র সন্তানকে দেখার জন্য ০৩ ভাইকে নিয়ে উজ্জলপুর গ্রামে তাহার শ্বশুরবাড়িতে গেলে শ্বশুরবাড়ির লোকজনরা তাহারা ০৩ ভাইকে জিম্মি করে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করে জামাতা জুবাইর মিয়ার বাম হাত, সাহেদ মিয়ার নাক ও তাজুল মিয়ার হাতের কবজি ভেঙ্গে দেয়। এক পর্যায়ে মৃত আব্দুল ছালামের পুত্র এলাকার প্রভাবশালী আব্দুল কদ্দুছ উত্তেজিত হয়ে তাহার ভাই আহাদ মিয়া ও রোকন মিয়া সহ একদল দূর্বৃত্তরা পূর্ব বিরোধের জের ধরে জামাতাকে বসতঘরে জিম্মি করে বেধড়ক পিটিয়ে জামাতার বাম হাত একেবারে ভেঙ্গে দিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় চুনারুঘাট থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। এ ব্যাপারে জুবাইর মিয়ার মাতা ওই এলাকার ৪, ৫, ৬নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা জরিনা খাতুন চুনারুঘাট থানায় বাদী হয়ে ০৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে আহত সূত্রে জানা যায়।
