আমারসিলেট24ডটকম,১১নভেম্বর,ফারুক মিয়া,এস,এম সুলতানঃ ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় কয়েক জন সচিবকে নিয়ে দেশে যখন চলছে একের পর এক তথ্য অনুসন্ধান, ঠিক তখন চুনারুঘাট উপজেলায় ১৪৫ জন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা ৫ হাজার টাকা ভূয়ামুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রদান করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চুনারুঘাট উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আঃ খালেক, কমান্ডার, আহবায়ক আঃ রহমান আজাদ, সদস্যকারী ল্যান্স কর্পোঃ আব্দুল হক চুনারুঘাট উপজেলার ১৪৫ জন ভূয়া ও রাজাকার মুক্তিযোদ্ধা সঙ্গে বলে দাবী করেছেন।
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসক বরাবরে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সরেজমিন তদন্তপূর্বক দাখিল প্রমাণসহ তদন্ত প্রতিবেদনের নির্দেশ দেয়া হযেছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
মন্ত্রনালয় নির্দেশ অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদান নিয়ে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের দৌড়ঝাপ শুরু হয়েছে। তারা বিভিন্ন মিটিং ফোনালাপসহ ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে। যাতে তদন্ত মাঝপথেই থেমে যায়। ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের দাপটে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অস্থিত হারিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে যেসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সরকারি সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন তারাই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে সংগঠনের কর্মকান্ড থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে যুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শফিক উদ্দিন বলেন দৃঢ়তার সঙ্গে যাচাই বাছাই করে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করতে জোর দাবী জানান প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা।
তাছাড়া ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধাপরাধী হিসেবে আইনের আওতায় এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। এ বিষয় উপজেলার সাবেক সদস্য সচিব মুক্তিযোদ্ধার ল্যান্স কর্পোঃ আব্দুল হক বলেন, সঠিক মুক্তিযোদ্ধারাই তালিকাভুক্ত হোক, এজন্য আমাদের আন্তরিক সহযোগিতা রয়েছে।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের সম্য় ভারতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এফএফ ও তৎকালীন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সেনা, নৌ, বিমান, ইপিআর, পুলিশ ও আনসার সম্মিলিতভাবে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা চুনারুঘাটে ৪৭৫ জন। বাকী ১৪৫ জন ১৯৮৭ সালের পর থেকে বিভিন্ন সরকারের সময়ে তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে।