চুনারুঘাটে শাহ সৈয়দ কলিম শাহ,সৈয়দ কালা শাহ ও কালা পীরানির মাজার

    0
    222

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,০১অক্টোবর,চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের বড়াব্দা গ্রামের হযরত শাহ সৈয়দ কলিম শাহ  সৈয়দ কালা শাহ ও কালা পীরানির মাজার। হযরত শাহ সৈয়দ কালা শাহ ফকিরের নিজ বাড়িতে প্রায় ১৮০ বৎসর আগে পুরোনো মাজার হয়েছিল ঐ কালা শাহ’র ।নিজ বাড়িতে মাজার হলে ও এই ওলীগণের অনেক আধ্যাত্মিক ইতিহাস ও কেরামতি প্রকাশ আছে প্রায় ২০০ বছর পূর্ব থেকে। সৈয়দ কালা শাহ ফকির বাড়িতে জিকির আজকার, মাহফিল চলে আসছে বহু পুর্ব থেকে। ওই সময় কোন বাড়িতে আধ্যাত্মিক গান-বাজনা হয় নাই এবং এ বিষয়ে কেহ অবগতও ছিল না বলে জানা যায়। সেই সময় থেকে সৈয়দ কালা শাহ ফকির বাড়িতে জিকির আজকার আধ্যাত্মিক মাহফিল চলে আসছে।

    সরেজমিনে গিয়ে স্থানিয়দের থেকে জানা যায় যে, পূর্ব পুরুষ ও এলাকার বিশিষ্ট মুরুব্বীগণের মুখ থেকে শুনা ওই বাড়ির অনেক ঐতিহ্য রয়েছে এবং ঐ বাড়ির অনেক আধ্যাত্মিক সুনাম আছে বলে এলাকার অনেকেই জানান। সেই সময় থেকে সৈয়দ কলিম শাহ ফকির, সৈয়দ কালা শাহ ও কালা পীরানির মাজার ছিল কিন্তু পাকা ছিল না। তখনকার সময়ে মানুষ মাজারের চর্তুদিকে বাঁশের বেড়া দেওয়া ছিল। সৈয়দ কলিম শাহ’র মাজার শরীফের একটি ইতিহাস আছে  যা হল ওই বাড়ির একজন মহিলা সৈয়দ আতাব উল্লা ফকিরের স্ত্রী সৈয়দ সেলিম শাহ’র মামানি খুব সরল-সহজ মহিলা ছিলেন।

    কথিত আছে যে, মাজারের পাশ দিয়ে শিম গাছ রোপন করিয়াছিলেন তখন গাছটি একটু বড় হয়ে আসছিল। গাছটি যখন বড় হয় তখন ওই মহিলা শিম গাছ বড় হওয়ার জন্য শিম গাছের গোড়াতে গরুর গোবর দিয়েছিলেন। তখন ওই মহিলার ৭টি গরু ছিল সেই গরুগুলো মরে গিয়েছিল!

    তখন ঐ ঘটনা  অলৌকিক  হিসেবে চর্তুদিকে ছড়িয়ে পড়ে। মাজারের কাছে শিম গাছে গোবর দেওয়ায় ৭টি গরু মারা যায়। তখনকার সময় থেকে কিছু এলাকার একটি মহল  ওই কথা গুলোকে বিভিন্ন ভাবে কেন্দ্র করে মাজারের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে।ওলীগণের অলৌকিক কেরামতের বিরুদ্ধে ওঠে পড়ে লাগে এবং বলে যে, গোবর খাদে নাকি মাজার তৈরি হয়েছে ?

    স্থানিয়রা জানান,যাদের চোখে মাজার ভাল লাগে না তারাই হচ্ছে মাজার বিদ্বেষী চক্র। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বড়াব্দা গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বি ও সাবেক মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোঃ আকছির মিয়া, মুরুব্বি আঃ মজিদ, মোঃ আরজু মিয়া, নূর মোহাম্মদ, আঃ হক, সাবেক মেম্বার আঃ নূর, শাহ সৈয়দ আঃ ছত্তার, শেখ মোঃ গেদু মিয়া, মীর মোঃ ছুরুক মিয়া সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আলাপকালে বড়াব্দা শাহ সৈয়দ কালা শাহ ফকির বাড়ির ঐতিহ্যের বিষয়ে এইসব তথ্য পাওয়া যায়।

    উল্লেখ্য যে, সৈয়দ কালা শাহ, সৈয়দ কলিম শাহ ও ফেরাই শাহ’র বংশধর শাহ সৈয়দ সেলিম উদ্দিন তিনি তাদের বংশধর। তিনি যুক্তরাজ্য প্রবাস থেকে এই মাজারগুলোকে হেফাজতের জন্য প্রায় ২০ বছর পূর্বে মাজার শরীফ পাকা করে দিয়েছেন। মাজার বিদ্বেষী কুচক্রী মহলরা সৈয়দ সেলিম শাহ’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন দোষ চাপিয়ে চলেছে।

    ওলীগণের মাজার ও দরবার শরীফের বিরুদ্ধে একদল কুচক্রী মহল বার বার উঠে পড়ে লেগেছে বলে  জানান এক মাজার ভক্ত।তিনি বলেন “আমরা দেশবাসী জানি শাহ সৈয়দ সেলিম উদ্দিন একজন খুবই সহজ-সরল ও সাদা মনের মানুষ এবং সেলিম শাহের বংশে কোন খারাপ চরিত্রের লোক নেই। আজ প্রায় ২০০ বৎসর যাবত বড়াব্দা কালা শাহ ফকির বাড়িতে আধ্যাত্মিক ওরস মাহফিল হয়ে আসিতেছে।

    উক্ত ওরস মাহফিলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অসংখ্যা আশেকান, জাকেরান অংশগ্রহণ করে আসছেন। ওই ওরসে চুনারুঘাট থানা প্রশাসন প্রতিবছর নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। শাহ সৈয়দ সেলিম উদ্দিন বড়াব্দা কালা শাহ ফকির বাড়ির মরহুম সৈয়দ মধু মিয়া সাহেবের সুযোগ্য সন্তান।

    তিনি উক্ত দরবার শরীফে দীর্ঘদিন যাবত মোতাওয়াল্লীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। চুনারুঘাট উপজেলাবাসী সেলিম শাহ’র দীর্ঘায়ূ ও মঙ্গল কামনা করেছেন।