জৈন্তাপুরে প্রশাসন জিম্মি নাকি ঘুমাচ্ছে?

    0
    209

    কাঁদছে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধেঁর ভিতরের বাসিন্ধা

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,ফেব্রুয়ারী,রেজওয়ান করিম সাব্বির: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ উপর দিয়ে প্রভাবশালী চক্র নতুন করে লিক তৈরী করছে। এনিয়ে বাঁধের ভিতরের বাসিন্ধারা পানি উন্নয়ন অধিদপ্তর সহ সর্ব মহলে আবেদন করেও প্রতিকার পাচ্ছে না। যেন জৈন্তাপুরের প্রশাসন জিম্মি, নাকি ঘুমাচ্ছে কেউ কিছু জানে না। তাই কাঁদতে হচ্ছে বেড়ী বাঁধের ভিতরের ২০গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার বাসিন্ধা।

    অভিযোগ সূত্রে ও সরেজমিন ঘুরে জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ও জৈন্তাপুর ইউনিয়নের মানুষের কৃষি তথা কৃষিজ জমি বন্যার কবল হতে রক্ষার জন্য “সারী-গোয়াইন” নামে একটি প্রকল্প ১৯৮০দিকে স্থাপন করে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধেঁর ভিতরের বাসিন্ধারা সুবিধা ভোগ করে এবং কৃষি জমিতে চাঁষাবাধ করে আসছে। বিগত ১৯৮৮ ও ১৯৯৫সনের পাহাড়ী বন্যায় এই বাঁধে আঘাত করলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয় এই অঞ্চলের মাটি ও মানুষের। সম্প্রতি একটি চক্র সারী ও বড় গাং নদীর বালু লুঠে নেওয়ার জন্য তারা লিক তৈরীর পরিকল্পনা করে। তা বাস্তবায়ন করতে ১৫-২০জনের ফেরীঘাট এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের হতে একটি বিশাল লিক তৈরীর কাজ করেছে অপর দিকে রুপচেং এলাকায় আরেকটি লিক তৈরী করে। এনিয়ে এলাকাবাসী স্থানীয় জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী, পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট এর কাছে পৃথক পৃথক আবেদন করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। এলাকাবাসী আব্দুছ ছামাদ, নাছির উদ্দিন, মোবারক আলী, আইয়ুব আলী, আব্দুল মালেক, বাদল আহমদ, নুর মেম্বার সহ একাধিক ব্যক্তি বলেন আমরা বাঁধ রক্ষার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ খালেদুর রহমানের কাছে সরাসরি দেখা করলে তিনি বলেন বিষয়টি আমার দেখার কিছুই নেই। এটি সংশিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ড দেখবে। এছাড়া তিনি আরও বলেন এ বাঁধ কিছুই হবে না বরং যে ক্ষতি করছে আপনারা তাদেরকে কিছুই বলছেন না জানান তাদেরকে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে এলাকাবাসীকে জানান।

    এলাকাবাসীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ফেব্র“য়ারী মঙ্গলবার পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের সাব-এসিষ্ট্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলাম সরজমিন পরিদর্শন করে লিক তৈরীর কাজ দেখতে পান। পরে তিনি তা বন্ধ রাখার নির্দেশদেন সেই সাথে এলাকাবাসীকে শান্ত থাকতে বলেন আর চক্রটি কাজ শুরু করলে সংবাদ জানাতে বলেন। তখন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের কথা বলেন। প্রভাবশালীরা ১৯ফেব্র“য়ারি শুক্রবার ৪টি ট্রাকযোগে ফের বাঁধ নির্মানের কাজ শুরু করলে উপজেলা নির্বাহী সহ বিভাগীয় পানি উন্নয়ন কর্মকর্তা কে বিষয়টি জানালেও তারা লেজ ঘুটে বসে রয়েছে। এদিকে নিরুপায় হয়ে এলাকাবাসী সর্বশেষ নিজেদেরকে রক্ষার জন্য আগামী ২৬ফেব্র“য়ারী শুক্রবার মরন বাঁধ বন্দের দাবীতে ফেরীঘাট রশিদ ফিল্ড ফুটবল মাঠে প্রতিবাদ সভাপর ডাক দিয়েছে।

    এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন- গ্রামবাসীর অভিযোগ পেয়ে সংশিষ্ট বিভাগকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলা হয়েছে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের তাই তারা এবিষয়ে ভাল বুঝবে।

     এবিষয়ে সাব-এসিষ্ট্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে (০১৮৭৪৬০৫৭২১) সাথে আলাপকালে তিনি বলেন- আপনারা বিষয়টি পানি উন্নয়ন কর্মকর্তার নাম্বার দিয়ে নিজেকে মুক্ত করেন।

     এবিষয়ে পানি উন্নয়ন কর্মকর্তা সিলেটের সাথে মোবাইল ফোনে (০১৯১২-৮২১২৮৪) আলাপকালে নাম গোপন রেখে বলেন এসও পাঠিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখছি।