জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কোয়ার্টার গোপনে ভাড়া চলছে !

    0
    184

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৯জানুয়ারী,রেজওয়ান করিম সাব্বিরঃ নানা অনিয়ম ও দূর্নিতির মাধ্যমে জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চললেও কর্তৃপক্ষ নিরব ভূমিকায়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি কোয়ার্টাস উচ্চ মূল্যে ভাড়া দেওয়া হয়েছে ঔষধ কোম্পানীর কর্মচারীকে। ৫০শষ্যার হাসপাতাল উন্নিত করা হলেও প্রশাসনিক অনুমতি না থাকায় ব্যবহৃত হচ্ছে না নতুন ভবন।

    অনুসন্ধানে যানা যায়- জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দীর্ঘ দিন হতে নানা অনিয়ম ও দূর্নিতি চলে আসছে। আবাসিক মেডিকেল অফিসার সবুল চন্দ্র বর্মণ ও ষ্টোক কিপার শিব্বির আহমদ নিয়ন্ত্রন করেছে কমপ্লেক্সটি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটির সরকারি কোয়ার্টাস উচ্চ মূল্যে ভাড়া দেওয়া হয়েছে ঔষধ কোম্পানীর কর্মচারীকে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রবশে পথ হইতে সম্পূর্ণ কমপ্লেক্স এরিয়া এখন পরিনত হয়েছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ হিসাবে। রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে সেই ১৫-২০বৎসরের পুরোনে বেডে।

    এছাড়া সন্ধ্যা হওয়ার পর পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়ে উঠে মাদক সেবীদের নিরাপদ আস্তানা হিসাবে। এবিষয় কথা হয় পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন হতে চিকিৎসা নিতে আসা রফিক সরকারর সাথে- তিনি বলেন “ভাই মেয়েকে নিয়ে আমার স্ত্রী সকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায় কিন্ত দুপর ১টা পর্যন্ত কোন ডাক্তার পেল না।”

    এদিকে অনুসন্ধানে যানাযায় দীর্ঘ ১বৎসরের অধিক সময় হতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সরকারী কোয়ার্টার ৪র্থ তলায় ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন জেনারেল ফার্মাসিটিকেল কোম্পানির রিপ্রেজেন্টিভ ইমদাদ। ২০১৪সনে ইমদাদ এর স্ত্রী উর্মী বেগম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মা-মনি প্রজেক্টে চাকুরী করতেন সেই সুবাদে তিনি সরকারি কোয়ার্টারে থাকার সুযোগ পান।

    এদিকে ২০১৪সনের শেষ দিকে মাতৃত্বকালীন ছুটি গ্রহন করে উমি বেগম। কিন্তু পরবর্তীতে ২০১৪সনের ডিসেম্বর মাসে উক্ত প্রজেক্টে হতে ছাড়পত্র দেওয়া উর্মিকে এবং সরকারি কোয়ার্টাস ছাড়ার জন্য বলা হয়।

    এবিষয়ে সুবল চন্দ্র বর্মন এবং ষ্টোর কিপার শিব্বির আহমদ এর মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করেননি।

    এবিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকলাপনা কর্মকর্তা আলা উদ্দিন আহমদ এর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন- আমি এই ষ্টেশনে নতুন যোগদান করেছি আপনি সময় করে ১১ টার দিকে অফিসে আসেন এবিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।