আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৬মার্চ,সাদিক আহমেদ ইমনঃ ফের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হলো মৌলভীবাজারের শ্রীমঙলে। “বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন,রেড ক্রিসেন্ট, গ্রীণলিফ সোশ্যাল এসোসিয়েশন, মানববন্ধনটির আয়োজন করে।
শনিবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় শহরের চৌমুহনা চত্বরে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী মুস্তাকিম আহমেদ জীবান, শ্রীমঙল কৌষ্টগার্ডের সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিছ আলী,সাংবাদিক জনি হায়দার, চন্দ্রনাথ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহর তরফদার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট মৌলভীবাজার জেলা কমিটি ও কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য মিটন দেবনাথ, বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চের সংগঠক সাদেক আলী তাহের সহ আরো অনেক ব্যক্তি প্রমুখ।
মানববন্ধনে অবিলম্বে তনুর ধর্ষন এবং হত্যকারীদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তাগন প্রশ্ন করেন – যে দেশে বাজেটের একাংশ সেনাবাহিনীর উন্নয়নে দেয়া হয়, দেশের নিরাপত্তা যাদের উপর অর্পিত,সেখানে সেনানিবাসের মতো একটি নিরাপদ জায়গায় কিভাবে তনু ধর্ষিত হলো ? বক্তাগন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতির তীব্র নিন্দা জানান।
মানববন্ধনে প্রকৌশলী মুস্তাকিম আহমেদ জীবান তার বক্তব্যে এক পর্যায়ে অভিযোগ করে বলেন, মানববন্ধনের অনুমতি চাইতে গেলে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মহান স্বাধীনতা দিবসে মানববন্ধন করতে নিষেধ করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসে কেন ধর্ষনের প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করা যাবে না ?
উল্লেখ্য, সোহাগী জাহান তনু কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইতিহাস বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে মেজো সে। বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার সরকারী একটি বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর একজন কর্মচারী। নিজের লেখাপড়ার খরচ জোগানোর জন্য টিউশিনি করত তনু।
ঘটনার দিন বুধবার বিকাল ৫-৩০ মিনিটেপ টিউশিনির উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয় তনু। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরতে দেরি হলে বাবা বেড়িয়ে পড়েন মেয়ের খোঁজে। কিছুক্ষণ খোঁজার পর কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় সেনানিবাসের ভেতরে একটি কালভার্টের কাছে মেয়ের নগ্ন এবং গলাকাটা লাশ দেখতে পায় তার বাবা।
প্রাথমিক সুত্রে পুলিশ জানায়,দুবৃত্তরা প্রথমে তনুকে জোড়পূর্বক ধর্ষন করে এবং তারপর গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পাঁচদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও সন্ধান মিলেনি তনুর ধর্ষনকারীদের।