তাহিরপুরের ধরে নিয়ে যাওয়া শ্রমিককে ফেরত দেয়নি বিএসএফ

    0
    231

    বিজিবি ক্যাম্পের নামে সোর্সদের চলছে জমজমাট চাঁদাবাজি

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২২ডিসেম্বর: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট সীমান্ত থেকে মাফিক নূর(২৫) নামের এক পাথর শ্রমিককে ধরে নিয়ে যাওয়া ২দিন পেরিয়ে গেলেও ফেরত দেয়নি ভারতীয় বিএসএফ। শ্রমিক মাফিক নূর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লাকমা গ্রামের মৃত আব্দুল বারেকের ছেলে।

    এদিকে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প,রজনীলাইন,বুরুঙ্গাছড়া,লাউড়গড় ও চানপুর সীমান্ত দিয়ে থেকে প্রতিদিন শতশত টন চুনাপাথর ও কয়লা পাচাঁর করছে বিজিবি ক্যাম্পের সোর্স পরিচয়ধারী বিভিন্ন মামলার আসামীরা। টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার আব্দুল হালিমের প্রত্যক্ষ মদদে এসব চোরাচালান হচ্ছে বলে জোড়ালো অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৭টায় টেকেরঘাট গিয়ে দেখা যায়,বিজিবি সদস্যরা টেকেরঘাট শহীদ মিনারের নৌকা ঘাটে বসে থেকে চুনাপাথরের নৌকা বোঝাই করছে চোরাচালানীদেরকে দিয়ে।

    স্থানীয়রা জানায়, অভিভাবকহীন টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প দিয়ে ভারত থেকে গত এক সপ্তাহে অবৈধভাবে প্রায় ৫শত টন চুনাপাথর পাঁচার করা হয়েছে। এজন্য বিজিবির কোম্পানী কমান্ডার আব্দুল হালিমের নামে প্রতি ট্রলি চুনাপাথর থেকে ১০০শত টাকা হারে চাঁদা দিতে হয়েছে। আর এই চাঁদা উত্তোলন করছে ক্যাম্পের সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালান মামলার জেলখাটা আসামী শহিদ মিয়া,দিলোয়ার ও সোনালী,মজনু মিয়া গং। তাদের নেতৃত্বে গত রোববার সকালে ৩০-৪০জন লোক দিয়ে খনি প্রকল্প এলাকা দিয়ে ও ভারত থেকে চুনাপাথর পাচাঁরের সময় মাফিক নূর নামের এক পাথর শ্রমিককে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ।

    ওই সময় মাফিক নূরের বড়ভাই শফিক নূরকে ধরতে না পেরে চুনাপাথর দিয়ে ঢিল মেরে তার মাথা ফাঠিয়ে দেয় বিএসএফ। এছাড়া পার্শ্ববর্তী লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী দিয়ে প্রতিদিন রাতে শতশত টন কয়লা পাচাঁর করা হচ্ছে।

    এজন্য ক্যাম্পের সোর্স নবীকুল ও নূরু মিয়া প্রতি কয়লার বস্তা থেকে ৭০টাকা হারে চাঁদা উত্তোলন করছে।

    বড়ছড়া শুল্কস্টেশনের কয়লা ব্যবসায়ী মজিদ মিয়া,আব্দুর রহমান,আবুল কালামসহ অন্যান্যরা বলেন,বিজিবি সদস্যদের প্রত্যক্ষ মদদে বর্তমানে টেকেরঘাট,বালিয়াঘাট,চানপুর ও লাউড়গড় সীমান্ত কয়লা ও চুনাপাথর চোরাচালানের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে।

    মাঝে মধ্যে লোক দেখানো নাম মাত্র কয়লা ও পাথর আটক করলেও সোর্স পরিচয়ধারী বিভিন্ন মামলার আসামীদের আটক করেনা বিজিবি। টেকেরঘাট ক্যাম্পের সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালানী সোনালী মিয়া বলেন,আমরা কোম্পানী কমান্ডার হালিম স্যারসহ সবাইকে ম্যানেজ করে চুনাপাথর ও কয়লা পাঁচার করি,আমাদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় লেখলে কিছুই হবেনা।

    এব্যাপারে অভিযুক্ত টেকেরঘাট বিজিবি কোম্পানী কমান্ডার আব্দুল হালিমের কাছে থাকা সরকারী মোবাইল নাম্বারের কল করলে ফোন রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে লাইন কেটে দেন,এরপর তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।

    সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক গোলাম মহিউদ্দিন বলেন,সীমান্তে আমাদের কোন সোর্স নেই,চোরাচালানের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।