তাহিরপুর চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় মেয়েটির মুখে হাসি

    0
    235

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: অসহায় পরিবারের সন্তান হয়ে বিপদে পড়লে বা বড় ধরনের কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লে চিকিৎসার অর্থের জন্য মেম্বার,চেয়ারম্যান,বিত্তবান,সমাজ সেবকদের কাছে গেলে কেবলেই সহযোগীতার আশ্বাস। অনেকেই কথাও দিয়েছিলেন কথা রাখে না নেয় না কোন দিন খোঁজ-খবর। কিন্তু অজপাড়া গ্রামে পড়ে থাকা অবহেলিত গরীব পরিবারের বাবা হারা মেয়ে লুৎফা বেগমের খোঁজ খবর শুধু রাখেন নি তাকে দেওয়া কথা রেখেছেন হাওর দরদী বন্ধু তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল।

    তিনি নিজের অর্থ দিয়ে চিকিৎসা করিয়ে সাভাবিক ও সুস্থ জীবনের ধার উন্মোচন করে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মেয়েটির।
    শুধু লুৎফা বেগমেই নয় সততা,ভদ্রতা,নম্রতা,উদারতা আর সামাজিক দায় বদ্ধতা থেকে বার বার অসহায় মানুষের পাশে দায়িয়েছেন। ফলে ধনি-গরীব,ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে সকল পর্যায়ের মানুষের মণিকোঠায় অবস্থান তার জানান তাহিরপুর উপজেলাবাসী।
    জানা যায়,তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়নের গোপালপুর (জালালপুর) গ্রামের মৃত আলী হোসেনের মেয়ে। বাবা হারা লুৎফা বেগম ৪র্থ শ্রেনীতে পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। গত ৪-৫বছর পূর্বে শীতের দিনে আগুনের তাপ পোহানোর সময় আগুনে তার শরীল ও একটি পা পুড়ে যাওয়ায় চলা ফেরা করা একবারেই বন্ধ হয়ে যায়। সাভাবিক জীবন থেকে হয়ে যায় বিচ্ছিন্ন (পঙ্গু) jজীবনে। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিল না অসহায় মা। এরপর মা সবার কাছে চিকিৎসার সহযোগীতার জন্য আবেদন নিবেদন করলেও কোন কাজ হয় নি।

    গত বছরের বন্যায় এলাকা পরির্দশন ও ত্রান বিতরনের সময় হাওর দরদী তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুলের চোখে পড়ে মেয়েটি। তখন অনেকেই মেয়েটির পরিবারের অসহায় জীবনের কথা জানায়। তখন তিনি কথা দেন মেয়েটির চিকিৎসা করাবেন। এরপর তিনি ঐ মেয়েটিকে নিজ খরচে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান এবং তার পায়ে প্লাষ্টিক র্সাজারী করান। এক মাসের বেশী সময় সেখানে থেকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাঃ সুমন চন্দ্র বর্মনের তত্তাবধানে রেখে সম্পূর্ন সুস্থ হবার পর বাড়ি ফিরে যায়।

    আনন্দে আতœহারা লুৎফা বেগম জানান,টাকার জন্য চিকিৎসা করাতে না পেরে আমার জীবন টাই নষ্ট হবার পথে ছিল হাটাচলা করতে পারতামনা। এখন সে হাটাচলা,খেলাধুলা সব কিছুই করতে পারে। আমি আবারও সাভাবিক জীবনে ফিরে পেয়েছি শুধু চেয়ারম্যান সাবেহের কারনেই। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার অনুদানের একটি বাড়ি ও একটি শ্লোলার প্যানেলের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

    মেয়েটির মা জানান,অর্থের অভাবে মেয়েটির চিকিৎসা করাতে পারছিলাম না। চোখে সব কিছুই অন্ধকার দেখছিলাম। তখন দাদা পাশে দাঁড়ানোর কারনে আমার মেয়েটির আজ সুস্থ জীবনে ফিরে পেয়েছে। শরীল পুরে গিয়ে মেয়েটি অচল হয়ে পড়েছিল বাড়িতে। অনেকে অনেকেই কথা দিয়েছিলেন তার চিকিৎসা করাবেন কিন্তু কেউ কথা রাখেন নি,কিন্তু গত কয়েক মাস পূর্বে দাদা কথা দিয়েছিলেন আমার মেয়ের চিকিৎসা করাবেন।

    ঠিক কথা দেওয়ার কিছু দিনের ভিতরেই দাদার নিজ তহবিল থেকে মেয়েটির চিকিৎসা করাতে নিজে গাড়ি দিয়ে সিলেট নিয়ে চিকিৎসা করান। এখন মেয়েটি আগের মত স্বাভাবিক ভাবে হাসি খুশিতে জীবনযাপন করেছে। তিনি সম্প্রতি আমার মেয়েটির খোঁজ নিতে আবারও বাড়িতে এসেছিলেন। আসলে দাদা কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী তাই শ্রদ্ধেয় মাথা নত হয় এই হাওর পাড়ের অসহায় মানুষ গুলোর পাশে দাড়ানো হাওর দরদী চেয়ারম্যান সাহেবের প্রতি।
    হাওর দরদী বন্ধু তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন,আমি যখন জানতে পারলাম মেয়েটির দুরাবস্থার কথা তখন নিজে গিয়ে দেখে আরও কষ্ট পেয়েছি। কথা দিয়েছিলাম চিকিৎসা করাব এরপর আমার সাধ্যমত তার চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ জীবন ফিরিয়ে দিতে পেরে নিজেকে সুভাগ্যবান মনে করছি।