নড়াইলে বিশ্বাস বংশ ও শেখ বংশের মধ্যে সংঘর্ষঃমহিলাসহ আহত-৬

0
156

সুজয় বকসী,নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পাঁচগ্রাম ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলাসহ ৬জন আহত হয়েছে ।
এ সময় সোনার চেইন আংটি,মোবাইল ও মটর সাইকেল ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।

আহতরা নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহতরা হলেন, মোছাঃ তারা বেগম (৬০), নাজমিন বেগম (২০), ইয়ামিন বিশ্বাস (৩০), ফয়সাল বিশ্বাস (২১), ইয়াসিন বিশ্বাস (৩০) ও সাকিল বিশ্বাস (২০)।এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৮ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৪টায় যাদবপুর গ্রামের রেজাউল বিশ্বাসের ছেলে সাকিল বিশ্বাস তার ভাই সবুজ বিশ্বাসের মটর সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় একই গ্রামের মৃত রসুল শেখের ছেলে লাকিবুর শেখ (৪৫) তাকে থামিয়ে হর্ন বাজাসনি কেন বলে মারধর শুরু করে। সাকিল বিশ্বাসের চিৎকারে তার পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে তারাও হামলার স্বীকার হন।
এক পর্যায়ে লাকিবুর শেখের সাথে যোগ দেয় তার ছেলে আরমান শেখ (২২), মৃত শাহাদত শেখের ছেলে হাদিস শেখ (৪০), ইমরুল শেখ (৩০), হুমাই শেখ (৩৮), হবিবর শেখের ছেলে জুয়েল শেখ (৩৬), মইনুল শেখ (৩৫) উজ্জ্বল শেখ (৩৩), মিরজাল শেখ (২৩), তাহাজ্জেল শেখের ছেলে মুস্তাইন শেখ (৩৩) ও সাফা শেখ (২০), হাদিস শেখের ছেলে রমিম শেখ (১৮), মৃত গফুর শেখের ছেলে রফি শেখ (৫৬) সহ অনেকে। তারা বিশ্বাস বংশের লোকদের ধারালো দেশিয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে রক্তাক্ত আহত করে।
আহত মোঃ ইয়াসিন বিশ্বাস বলেন, আমাদের বিশ্বাস বংশের মেয়ে ও মহিলাদের আসা যাওয়ার সময় প্রতিবেশি শেখ বংশের লোকজনেরা প্রায়ই উত্ত্যক্ত ও ইভটিজিং করে। আমরা এর প্রতিবাদ করলেই মারধর শুরু করে। মহিলাদের ও মারধর করে। গতকালও একই কারনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আমার শিশু সন্তানকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতলে যাওয়ার পথে তাদেরকেও মারধর করেছে। এ সময় তারা সোনার চেইন, আংটি, মোবাইল ও মটর সাইকেল (পালসার) নিয়ে যায়।
নড়াইল সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ শামিমুর রহমান বলেন, রোগিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মোছাঃ তারা বেগমের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মাথা কেটে যাওয়ায় ১৫টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। মাথায় আঘাতের জন্য এক্সরে ও অন্যান্য পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ লেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে কালিয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ জামাল জানান, এটা যাদবপুর গ্রামের বিশ্বাস ও শেখ বংশের অভ্যন্তরীণ গোলযোগ। আমরা খবর পেয়েই এলাকায় পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।