আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,১৬মে,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার নাইমা আক্তার সবুজ নামের গৃহবধু কুমিল্লায় খুন হয়েছে। কুমিল্লার সদর থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে নবীগঞ্জে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে। এবং গৃহবধুর স্বামী বাদী হয়ে কুমিল্লা সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
নাইমার পারিবারিক সুত্রে জানা যায়-ঐ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের সুজা পুর গ্রামের আকামত আলীর কন্যা নাইমা আক্তার সবুজ ও তার স্বামী একই উপজেলার হালিতলা গ্রামের মোহিত মিয়া তারা দীর্ঘ দিন যাবত জীবিকার তাগিদে কুমিল্লা সদরের দক্ষিনচর্থা এলাকায় জনৈক কালাম মাষ্টারের ভাড়াটিয়া বাসায় থেকে গৃহবধু নাইমা আক্তার গার্মেন্টসে ও তার স্বামী মোহিত মিয়া রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন । মাঝে মধ্যে তারা নবীগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে আসতেন।
সেই সুবাধে স্বামী মোহিত মিয়া তার চাচাতো ভাই খালেদকে একটি এনজিও সংস্থা থেকে ২০ হাজার টাকা ঋন তোলে দেন । এবং খালেদ সঠিক মতো ঋনের টাকা পরিশোধ করে আসছিলো । কিছু দিন পৃর্বে চাচাতো ভাই খালেদ এলাকার লোকের সাথে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে সিলেট শহরে চলে যায় । এতে সঠিক মতো কিস্তির টাকা পরিশোধ না করায় এনজিও কর্মী রাশেদা খানম নাইমা আক্তারকে প্রায় সময়ই ফোনে গালমন্দ করেন ।
এরই জের ধরে গত শনিবার রাতে নাইমা তার পার্শ্ববর্তী বাসায় বসবাসরত খালেদের চাচাতো ভাই মিনু মিয়া ওরফে (রকিব) ও তার স্ত্রী নুরুন্নাহারদে সাথে ঐ টাকা নিয়ে কথার কাটাকাটি নিয়ে বাধ সাঝে এ সময় তারা একজোট হয়ে গৃহবধু নাইমা আক্তার সবুজ (২৫) কে বেধড়ক ভাবে পিঠিয়ে গুরুতর আহত করে ।
গৃহবধু নাইমার আট বছরের কন্যা বৃষ্টির শোর চিৎকার আশ-পাশের লোকজন এগিয়ে এসে নাইমাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১০ টায় সে মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়ে । পরে তার গ্রামের বাড়িতে খবর দেয়া হলে তারা লাশ কুমল্লা সদর থানা পুলিশের কাছ থেকে সমজিয়ে গ্রামের বাড়িতে এনে তার দাফন করেন। এ ব্যাপারে নাইমার স্বামী মোহিত মিয়া কুমিল্লা সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।