নবীগঞ্জে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে কৃষকের উন্নতি

    0
    322

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৪ফেব্রুয়ারী,মতিউর রহমান মুন্নাঃ নবীগঞ্জে “একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প ভাগ্য বদলে দিয়েছে ৪টি পরিবারের। শীতকালীন সবজি শিম, টমেটু, শসা, মিষ্ট লাউ চাষ করে সাবলম্বি কৃষকেরা জানিয়েছেন, একটি বাড়ি একটি খামার থেকে ঋণ নিয়ে ইতিমধ্যে দেড় লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন জাতের সবজি বিক্রি করতে সক্ষম হয়েছেন, এছাড়া এ মৌসুমে আরো দুই লক্ষাধিক টাকার সবজি বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সবজি চাষের সফলতার খবর পেয়ে গত সোমবার বিকেলে সরেজমিনে পরিদর্শন করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ লুৎফর রহমানসহ অন্যান্যরা।
    জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের সুহিলপুর গ্রামের অজুদ মিয়া মাত্র ১৫ হাজার ঋণ গ্রহণ করে শীতকালীন সবজি শিমের চাষ করে ইতিমধ্যে ৩৫ হাজার শিম বিক্রি করেছে, আরো ৪০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। একই প্রকল্প থেকে ১৫ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেন কৃষক আলী হোসেন। তিনি জানান সম্পূর্ণ দেশিও প্রযুক্তিতে এ পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকার শীতকালীন সবজি বিক্রি করেছেন, আগামীতে আরো ৬০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একই এলাকার কৃষানী মাকমুদা বেগম ২০ হাজার টাকা ও রেজিয়া বেগম পৃথকভাবে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে শিমের চাষ করে লাভবান হয়েছেন।
    কৃষক আলী হোসেন জানান, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প থেকে ঋণ গ্রহণ লাভবান হয়েছে। পাশাপাশি তার সবজি খামারে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন আরো অনেক পরিবার। সবজি চাষে তার সফলতা দেখে এখন নবীগঞ্জে অনেকেই সবজি চাষে মনযোগি হচ্ছেন। এতে বহু পরিবার স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন। আলী হোসেনকে এলাকার ভাল সবজি চাষি হিসেবে সবাই চিনেন। তার এ সফলতার ব্যাপারে তিনি জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ লুৎফর রহমানের সার্বিক সহযোগিতায় নিজেকে একজন সফল সবজি চাষি হিসেবে আবিস্কার করতে পেরে গর্বিত।
    গত সোমবার বিকেলে একটি বাড়ি একটি খামারের প্রকল্পগুলো পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, স্যানেটারী অফিসার নূরে আলম সিদ্দিকী, উপজেলা সমন্বয়কারী দিবাংশু রঞ্জন রায়, সমিতির ম্যানাজার বিধান ভূষণ দাশ প্রমুখ।
    এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় সবজি চাষে কৃষকেরা লাভবান হয়েছেন। সবজি চাষে তাদের সফলতা দেখে নবীগঞ্জে অনেকেই সবজি চাষে মনযোগি হয়েছেন। ঐ উপজেলার এ দেশের সফল চাষিদের উদাহরণ হতে পারেন। মাঠের পর মাঠ সবজির সমাহার দেখে মনে হয় প্রকৃতি এখানে নিজ হাতে বিছিয়ে দিয়েছেন সবুজ বাগিচা। শাক সবজি ও ফল মুলের উৎপাদন নবীঞ্জের সুহিলপুরকে করেছে সমৃদ্ধ। কিছুটা পরিশ্রম কৃষি কাজও শৈল্পিক সুষমা পেতে পারে, তার প্রমান পাওয়া যায় নবীগঞ্জের সুহিলপুর সবজির মাঠ ঘুরলে।