নবীগঞ্জে গণধর্ষণঃঘটনা ধামাচাপা দিতে অর্থের বানিজ্য

    0
    252

     প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে গ্রামবাসী

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৩০মে,মতিউর রহমান মুন্নাঃ নবীগঞ্জের দেবপাড়া ইউনিয়নের কালাভরপুর গ্রামের আলীনগর এলাকার সিজিল মিয়ার কিশোরী মেয়ে (১৪) গত ২৪ মে রাতে গণধর্ষনের শিকার হওয়ার চা ল্যকর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তবে ধর্ষিতার পরিবার অদৃশ্য কারনে এ ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া উক্ত ঘটনাটি চাপা দিতে ধর্ষক পরিবারের পক্ষ থেকে লক্ষাধিক টাকা বানিজ্য হয়েছে বলেও মূখরোচক আলোচনা চলছে।

    এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, গত ২৪ মে রাতে উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের আলীনগর (কালাভরপুর) গ্রামের সিজিল মিয়ার কিশোরী কন্যা (১৪) প্রাকৃতিক ডাকে সারা দিতে ঘর থেকে বের হলে বাউসা ইউনিয়নের হরিধরপুর গ্রামের আব্দুল মছব্বির’র ছেলে বদরুল মিয়া (১৯), মৃত ইছাক মিয়ার ছেলে জামাল মিয়া (১৮) এবং আলীনগর গ্রামের জনৈক যুবক মিলে কিশোরী কন্যাকে জোরপুর্বক পাশের অলিউর রহমানের বাড়ির নির্ঝনস্থানে তালগাছের নীচে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষন করে।

    পরে ধর্ষিতা কিশোরী কন্যা রক্তাক্ত অবস্থায় তার চাচা মছলম মিয়া ও চাচীর নিকট ঘটনাটি খোলে বলে। এদিকে মেয়েকে ঘরে না পেয়ে বাবা সিজিল মিয়া গ্রামের লোকজনকে জানালে গ্রামবাসী খোজাঁখুজিঁ করে। এ সময় খবর আসে চাচার বাড়িতে কিশোরী রয়েছে। ঘটনাটি জেনে কিশোরীর ভগ্নিপতি হরিধরপুরের ফজলু মিয়া এবং পরের দিন মেয়ের বাবা, চাচা একই গ্রামের উজ্জল খাঁনকে সাথে নিয়ে হরিধরপুর গ্রামে গিয়ে বদরুলের চাচাতো ভাইদের কাছে বিচার প্রার্থী হন।

    এ নিয়ে গত বুধবার রাতে অলিউর রহমানের বাড়িতে ওই ঘটনায় উভয় গ্রামের লোকজন বৈঠকে বসলে সুচতুর জাকারিয়া বিষয়টি লোকজনকে পাশকাটিয়ে গোপনে ধর্ষক ও ধর্ষিতা পরিবারের মধ্যে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে শেষ করে দেয়। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে এলাকাবাসী উক্ত ধর্ষন ঘটনার সাথে জাকারিয়া’র ভাই জড়িত থাকতে পারে বলে ধারনা করছেন। যে কারনে ধর্ষিতা পরিবারকে ভয়ভীতি পদর্শন করে ধর্ষিতা পরিবারের মূখ বন্ধ রেখেছে। অপর একটি সুত্রে জানাগেছে, ওই ঘটনা ধামাচাপা দিকে অনেক টাকার বানিজ্য হয়েছে। গ্রামবাসী দাবী করেন, পুলিশ ভিকটিম, তার বাবা সিজিলও তার মা’কে থানা হেফাজতে নিয়ে নিভিরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই মূল রহস্য উদঘাটিত হবে। ঘটনাটি নিয়ে গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের ইনর্চাজ এসআই আরিফ উল্লার সাথে যোগাযোগ করলে এ বিষয়ে ফাড়িঁতে কোন অভিযোগ নাই বলে তিনি জানান। তবে বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখছেন বলেও জানিয়েছেন।

    এ ব্যাপারে ধর্ষিতার পিতা সিজিল মিয়া ও ধর্ষিতা কিশোরীর সাথে যোগাযোগ করলে তারা ঘটনাটি অস্বীকার করেন। এক প্রশ্নের জবাবে তারা এড়িয়ে যান। কথা হয় মেয়ের চাচা আজিজুর রহমানের সাথে। তিনি ঘটনাটি চাপা দিয়ে তার বড় ভাইদের সাথে কথা বলতে অনুরুধ করেন। এ বিষয়ে জাকারিয়া বলেন, কিশোরী মেয়েটি অহেতুক বদরুলকে ফাসাঁনোর জন্য মিথ্যা কথা বলেছে। পরে তা স্বীকার করলে মেয়ের দিকবিবেচনা করে তা শেষ করা হয়েছে।

    এ ব্যাপারে বৈঠকে উপস্থিত রুমেল মিয়া, সোহেল খান, আলমগীর খান, চানু মিয়া, সাদ্দক মিয়া, লিটন মিয়াসহ একাধিক লোকের সাথে কথা বললে তারা জানান, হরিধরপুরের বদরুল মিয়ার আত্বীয় স্বজনরা আলীনগর গ্রামে এসে মুরুব্বীয়ান জড়ো করে জানায়, সিজিল মিয়া এবং তার মেয়ের জামায়াতা বদরুল মিয়াগংরা তার মেয়েকে ধর্ষন করে বলে বিচার প্রার্থী হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আগেই জাকারিয়া তাদের পাশকাটিয়ে একক ভাবে অদৃশ্য ভাবে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে সমাধান করে দিয়েছে বলে তারা জানায়।

    আলোচিত এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় চা ল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামবাসী জানান, অসহায় গরীবের মেয়ের সর্বনাশ করার ঘটনাটি অর্থের বিনিময়ে এভাবে ধামাচাপা দিয়ে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া হয়েছে। তারা ঘটনাটি পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে ভিকটিমকে উদ্ধার করে মূল রহস্য উদঘাটনের দাবী জানিয়েছেন।