নবীগঞ্জে ভায়রা ভাইয়ের হাতে ভায়রা ভাই খুন!

0
182
নবীগঞ্জে ভায়রা ভাইয়ের হাতে ভায়রা ভাই খুনের ঘটনায় স্বজনরা হতবাক

নূরুজ্জামান ফারুকী,নবীগঞ্জ থেকে: নবীগঞ্জ উপজেলায় ভায়রা ভাইয়ের লাঠির আঘাতে আরেক ভাইরা ভাই বাবলু মিয়া (২৫) নিহতের অভিযোগ উঠেছে হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকেলে উপজেলার বড় ভাকৈর পূর্ব ইউনিয়নের বাগাউড়া গ্রামে জানাজার নামাজ শেষে বাবলু মিয়াকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। বাবলু মিয়া (২৫) বাগাউড়া গ্রামের ফজল মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , বড় ভাকৈর পূর্ব ইউনিয়নের হরিনগর গ্রামের আব্দুল হামিদের বড় মেয়ে সাবিনা বেগমের বিয়ে হয় একই গ্রামের আকবর মিয়ার সঙ্গে ও ছোট মেয়ে নাঈমা বেগমের বিয়ে হয় বাগাউড়া গ্রামের বাবলু মিয়ার সঙ্গে। বাবলু মিয়া সিলেটের জাফলংয়ে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন।
গত মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বাগাউড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে আসেন। বাড়িতে এসে স্ত্রীকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করেন। পরে পার্শ্ববর্তী হরিনগর গ্রামের ভায়রা ভাই আকবর মিয়ার বাড়িতে যান। ওই বাড়িতে স্ত্রীকে পান। এ সময় স্ত্রীর কাছে বাড়িতে না থাকার কারণ জানতে চান। এ নিয়ে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ভায়রা আকবর মিয়ার সঙ্গেও বাগবিতণ্ডায় জড়ান।

এ সময় আকবর মিয়া লাঠি দিয়ে বাবলুর মাথায় আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। শুক্রবার ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। দুপুরে সিলেটে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ আনা হয় গ্রামের বাড়িতে। পরে বিকালে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এ প্রসঙ্গে বড় ভাকৈর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তার মিয়া ছুবা বলেন, গত কয়েকদিন আগে আকবর মিয়া ও বাবলুর মধ্যে ঝামেলা হয়। এ সময় লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে বাবলু গুরুতর আহত হন। পরে তাকে সিলেট হাসপাতালে ভর্তি করলে শুক্রবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

ঘটনা নিশ্চিত করে নবীগঞ্জ থানার ওসি মাসুক আলী বলেন, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।