নবীগঞ্জ কলেজে মার্কসিট ও প্রশংসাপত্র বাবদ অতিরিক্ত

    0
    253

    অর্থ আদায়ের অভিযোগ

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৭অক্টোবর,মতিউর রহমান মুন্না: নবীগঞ্জ বিশ^বিদ্যালয় ডিগ্রি কলেজে চলছে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি। শিক্ষকদের মনগড়া চলার কারনে ঐতিহ্যবাহি এই কলেজের সুনাম ও লেখা পড়ার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অনেকেই। গত এইচ.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মার্কসিট ও প্রশংসাপত্র বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। টাকা নেয়া হচ্ছে বেশ কড়াকড়িভাবে। টাকা না দিলে মার্কসিট ও প্রশংসাপত্র দেয়া হচ্ছে না। ফলে দরিদ্র শিক্ষার্থীরা অনার্সে ভর্তি নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন। অনার্সে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা প্রশংসাপত্র নিতে বিড়ম্বনার শিকার হওয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
    জানা গেছে, উপজেলা সদরের ঐহিত্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নবীগঞ্জ বিশ^বিদ্যালয় ডিগ্রি কলেজে গত এইচ.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা অনার্সে ভর্তি হওয়ার জন্য মার্কসিট ও প্রশংসাপত্রের জন্য কলেজে গেলে ৩শত টাকা ফি দাবি করে কর্তৃপক্ষ। স্বচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ফি দিয়েই মার্কসিট ও প্রসংশাপত্র নিলেও বিপাকে পড়েছে দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা। টাকা দিতে অপারগতা জানালে প্রশংসাপত্র দেয়া হচ্ছেনা।
    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক শিক্ষার্থী জানান, দীর্ঘ দিন ধরে ওই শিক্ষা প্রতিষ্টানে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি চলে আসছে। অধ্যক্ষ ও কিছু সুবিধাভুগি শিক্ষকদের উদাসিনতা ও মনগড়া চলা ফেরায় বহিরাগতদের উৎপাতসহ কলেজ ক্যাম্পাসে নানা কারনে অকারনে ইতিপুর্বে একাধিকবার বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ও সংগঠিত হয়েছে।
    জনৈক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, আমি মানুষের সাথে দিনমজুর কাজ করি। ছেলে কলেজে মার্কসিট আনতে গিয়ে ৩শত টাকা দিতে হয়েছে স্যারদের। আবার এরপর অনার্স ভর্তি করাতে হবে। টাকা পয়সা হাতে নেই, কিজে করব।
    এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম হোসেন আজাদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনাটির সত্যতা শিকার করে বলেন- ৩ শত টাকা করে আদায় করা হলেও আমরা অন্যান্য কলেজের তুলনায় কম নিচ্ছি। তবে কাউকে চাপ সৃষ্টি করে নেওয়া হচ্ছেনা বলেও জানান তিনি। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ বেশ কড়াকড়িভাবে টাকা অদায় করা হচ্ছে।
    এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাদেক খান বলেন, এ ব্যাপারে দেখবাল করার জন্য আমাকে দায়ীত্ব দেওয়া হয়নি। তবে গভর্নিংবডি যদি কোন সিদ্ধান্ত নেয় তা তাদের ব্যাপার।
    এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমার কাছে এ ধরনের কোন অভিযোগ এখন ও পাইনি। তবে খোজ খবর নিয়ে যদি কোন বিধিবর্হিভুত কার্যক্রমের সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট অভিহিত করা হবে।