নবীগঞ্জে ২শিশু ও মা‘র লাশ উদ্ধারের ঘটনায় কাজের ছেলে গ্রেফতার

    0
    203

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৮এপ্রিল,মতিউর রহমান মুন্নাহবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর গ্রামে রহস্যজনক ভাবে নিহত মা রুমেনা বেগম, ছেলে মুছা মিয়া ও মেয়ে মুসলিমা খাতুনের মৃত্যুর ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে স্বামীর বাড়ির কাজের লোক হাছান মিয়া (১৯) নামের এক ব্যক্তিকে গত সোমবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত হাছান মিয়া বানিয়াচং থানার উমরপুর গ্রামের ফেরদৌস মিয়ার ছেলে। সে দীর্ঘদিন ধরে জেলহাজতে আটককৃত নিহতের স্বামী ফরিদ উদ্দিনের বাড়িকে শ্রমিক হিসেবে কৃষি কাজ করতো। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তাকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২২ মার্চ রবিবার সকালে উপজেলার বড় ভাকৈর (পশ্চিম) ইউনিয়নের বড় ভাকৈর গ্রাম থেকে গৃহবধু রুমেনা বেগম (৩০), ছেলে মুছা মিয়া (৭) ও মেয়ে মুসলিমা খাতুন (৫) এর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্বামী ফরিদ উদ্দিন ও তার পরিবার এ ঘটনাকে আত্মহত্যা দাবী করলেও নিহতের পিতার পরিবার ও এলাকাবাসী এ ঘটনাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা কান্ড দাবী করে আসছেন। এ ঘটনায় রুমেনা বেগমের চাচা আশুক মিয়া বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা নং ২৪, তাং ২২/০৩/২০১৫ইং দায়ের করেছে। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী ফরিদ উদ্দিনকে গ্রেফতার করে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে কোর্টে প্রেরন করেন। ইতিমধ্যে বিজ্ঞ আদালত ফরিদ উদ্দিনের ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামীকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কোর্টে প্রেরন করেছেন। তবে তার কাছ থেকে কি তথ্য পেয়েছেন জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আশেকুল ইসলাম জানান, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন তবে তদন্তের স্বার্থে তা বলা সম্ভব নয়। এদিকে গত ৫ই এপ্রিল চাঞ্চল্যকর ৩ খুনের ঘটনায় উপজেলা আইনশৃংখলা সভায় পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠে। উক্ত সভা থেকে আলোচিত মা, মেয়ে ও ছেলে খুনের ঘটনায় দায়ীদের গ্রেফতারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য থানা পুলিশকে বলা হয়। এরপ্রেক্ষিতেই ঘটনার ১৫ দিন পর গত ৬ই এপ্রিল তদস্ত কর্মকর্তা এসআই আশেকুল ইসলাম ফরিদ উদ্দিনের বাড়ি থেকে কাজের ছেলে হাছান মিয়াকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন। এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা সন্দেহভাজন হিসেবে হাছানকে গ্রেফতারের কথা বললেও স্পষ্ট কোন বক্তব্য দেননি।