নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যাঃহাফেজ আবদুল কাদেরের স্বীকারোক্তি

    0
    220

    ফেনীর সোনাগাজী মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার অন্যতম আসামী হাফেজ আবদুল কাদের আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি তার জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন তার রুমেই নুসরাতকে পুড়িয়ে মারার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার (১৮ এপিল) দুপুর আড়াইটায় ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শরাফ উদ্দিন আহমদের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ শুরু হয়।

    এর আগে বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল এসপি মো. ইকবাল গণমাধ্যমকে জানান, হাফেজ আবদুল কাদের আদালতের কাছে স্বীকার করেছেন তিনি ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল। ঘটনার দিন তিনি হত্যাকারীদের নিরাপত্তায় মাদরাসার গেট পাহারায় ছিল। তিনি পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে অন্যতম। নিজের সক্রিয় অংশ গ্রহণের কথা জানিয়েছেন।
    এর আগে এ মামলায় তিনজন আসামী নুসরাত হত্যার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। তারা হলেন- মামলার এজহারভুক্ত আসামী নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীম। এছাড়া অন্যতম আসামী আবদুর রহিম শরীফও হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

    এদিকে রোববার রাতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে নুসরাত হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার অন্যতম আসামী নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামিম। জবানবন্দিতে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার নির্দেশে তারা নুসরাতের গায়ে আগুন দিয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পিবিআই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর আসামীদের আটক করেছে।

    এর আগে টানা পাঁচ দিন মৃত্যু যন্ত্রণা সহ্য করে অবশেষে ১০ এপ্রিল বুধবার রাত নয়টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি। পরদিন সকালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দিলে বিকেলে সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।