নড়াইল প্রতিনিধিঃ ভিজিডির চাল আত্মসাত এবং নানা অনিয়মের অভিযোগে নড়াইল সদর উপজেলার সিঙ্গাশোলপুর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এলাকাবাসির-মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
শুক্রবার দুপুরে সিঙ্গাশোলপুর-পেড়লী সড়কের শোলপুর ও তারাপুর এলাকার মানুষ এ মানববন্ধন করে। । ইতিমধ্যে এঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ৭ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শেখর বিশ্বাস জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ।
মানববন্ধন চলাকালে সিঙ্গাশোলপুর ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো.শরিফুল ইসলাম, মহিলা সদস্য শেফালি বেগমসহ ভুক্তভোগীরা বক্তব্য রাখেন ।
বক্তারা বলেন,ইউপি চেয়ারম্যান উজ্জল শেখ ভিজিডি কার্ডধারী মানুষদের প্রতি মাসে ৩০কেজি করে ভিজিডির চাল দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তিনি কাউকে এক বস্তা (৩০ কেজি),কাউকে দুই বস্তা চাল দিয়েছেন, ইউপি সদস্যদের জমা দেওয়া তালিকা অনুযায়ী বয়স্কভাতা,ভিজিডি কার্ড প্রদান না করে নিজের স্বজনসহ পরিচিত জনের মধ্যে বিতরণ করেছেন ।এমনকি ভূয়া নাম দেখিয়ে তাদের মালামাল আত্মসাত করেছেন ।
তারাপুর গ্রামের খায়রুল মোল্যার স্ত্রী রাবেয়া খানম বলেন,আমি আজ পর্যন্ত কোনো চাল পাইনি । অথচ আমার নামে কার্ড আছে । একই গ্রামের পলাশ মোল্যার স্ত্রী মোসাম্মাৎ সাবিনা বলেন,তালিকায় আমার নাম থাকলেও আমি কিছুই জানিনা । তিনি বলেন,আমি চালও পাইনি। চুনখোলা গ্রামের ফিরোজ মিনার স্ত্রী বনিতা জানান,চৌকিদারের মাধ্যমে আমারে ২ বস্তা চাল পাঠিয়ে দিয়েছে, দেয়ার কথা তিন বস্তা।
৯ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো.শরিফুল ইসলাম বলেন,আমি পরিষদে যে তালিকা জমা দিয়েছি চাল ও বৃদ্ধ ভাতা দেবার সময় তাদের কারো নামই নেই । তিনি দাবি করেন,চেয়ারম্যান ভূয়া নাম দিয়ে এদের চাল আত্মসাত করেছেন । আবার একই স্বচ্ছল পরিবারের চারজনকে কার্ড দিয়েছেন ।
ইউপি চেয়ারম্যান উজ্জল শেখ বলেন,চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে পরাজিত সাবেক চেয়ারম্যান খায়ের মোল্লাা আমার ভাবমূর্তি নষ্ট এবং বদনাম সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে । তিনি দাবি করেন,এলাকার মানুষের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে মানুষকে উত্যপ্ত করার চেষ্টা করছেন । তিনি দাবি করেন,ইউনিয়নের প্রকৃত দুস্থ্য মানুষদের তালিকা প্রস্তুত করে চাউল বিতরণ করা হচ্ছে ।
৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শেখর বিশ্বাস বলেন,চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য ছাড়্ওা সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন । তাদের হক মেরে খাচ্ছেন । তিনি বলেন,এর প্রতিবাদে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে ।
ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খায়ের মোল্যা বলেন,নির্বাচনে জনগণের রায় মেনে নিয়েছি । একজনের বিরুদ্ধে বিনা কারণে বদনাম কিংবা ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার কোনো ধরণের মানষিকতা নেই ।
জেলা প্রশাসক আঞ্জুমান আরা বলেন,সিঙ্গাশোলপুর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে । বিষয় তদন্ত করে দেখার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
