পুলিশের সহযোগীতায় যাদুকাটার তীর কেটে বালি বিক্রির মহোৎসব

    0
    230

    আমারসিলেট24ডটকম,০৯জুন,মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়াঃ সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুরে পুলিশ প্রশাসনে প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় অবৈধভাবে যাদুকাটা নদীর তীর কেটে চলছে বালি বিক্রির মহোৎসব। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে শুরু হয় পাড় কাটা। চলে মধ্য রাত পর্যন্ত। স্থানীয় প্রভাবশালীরাও জড়িত রয়েছে এই পাড় কাটার সাথে। ফলে ভাংনের কবলে পড়েছে নদী তীরবর্তী ২০টি গ্রাম। ইতিমধ্যে কয়েকশ একর চাষাবাদের ভূমি ও সহশ্রাধিক বসতবাড়ি ভাংগনের কবলে পড়ে নদীগর্ভে বিলিন হয়েগেছে। সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে পাঁচ শতাধিক পরিবার।

    এলাকাবাসী জানায়,যাদুকাটা নদীর উত্তর তীরে অবস্থিত লাউড়েরগড়,চড়ারপাড়,বিন্নাকুলি ও দক্ষিণ তীরে অবস্থিত আদর্শ গ্রাম, বড়টেক,গাগড়া,মানিগাঁও পর্যন্ত প্রায় ১০কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চলছে যাদুকাটা নদীর পাড় কেটে বালি উত্তোলন। এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালীরা প্রতিদিন অবৈধভাবে নদীর পাড় কেটে শতশত বলগেট নৌকা বোঝাই করে। এজন্য থানা এসআই জামাল তার দুই দালালের মাধ্যমে প্রতি নৌকা থেকে ২হাজার টাকা হারে চাঁদা নিচ্ছেন। তারমধ্যে থানার দুই দালাল পাচ্ছে ৭শত টাকা। সরকারের অইন অম্যান্য করে নদীর পাড় কেটে প্রতিদিন হচ্ছে কোটি টাকার বাণিজ্য। অথচ এব্যাপারে আজ পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

    গাগড়া ও আদর্শগ্রামের নিরীহ লোকজন জানান,তাদের বাড়িঘর রক্ষা করার জন্য যাদুকাটা নদীর তীর কাটা বন্ধের দাবীতে এসপি ও ডিসির কাছে বারবার লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরও কোন কাজ হয়নি। অভিযোগ করে বরং উল্টো বিপদে পড়তে হয়। এসআই জামাল তার দুই দালালকে নিয়ে দাড়িয়ে থেকে অবৈধভাবে নদীর পাড় কেটে নৌকা বোঝাই করে। প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। আর তিনি বলেন ১২লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে তাহিরপুর থানায় এসেছেন। এসপি-ডিসি তাকে কিছু করতে পারবেনা। এব্যাপারে থানার এসআই জামালের মোবাইল নাম্বারের ফোন করার পর সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে লাইন কেটে দেন। ওসি আনিসুর রহমান খাঁনের নাম্বারের বারবার কল করার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

    সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ইয়ামিন চৌধুরী বলেন,নদীর পাড় কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই,এব্যাপারে খোজ নিয়ে দেখব। শীগ্রই এব্যাপারে ব্যবস্থা না নিলে যাদুকাটা নদীর দুইতীরে অবস্থিত প্রায় ২০টি গ্রামের দুই সহশ্রাধিক পরিবার তাদের ভিটে মাটি হারিয়ে পথে বসতে হবে। তাই যাদুকাটা নদীর ভাংগনের কবল হতে অসহায় পরিবারগুলোকে রক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাহিরপুর উপজেলাবাসী।