মিজানুর রহমান,চুনারুঘাটঃ অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন সুত্রে জানা যায় স্ত্রী প্রবাসে থাকার সুযোগে শালিকা Add Newজুনেরার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে দুলাভাই সোহাগের। শুধু তাই নয় স্ত্রীর বড় বোনের মেয়ের দিকে ও কু-নজর দেয় সোহাগ। দুলাভাইর কো-মতলব টের পেয়ে শালিকা জুনেরা দুলাভাইকে শাসিয়ে দেয়।
এর জের ধরে মঙ্গলবার রাতে শালিকার সাথে বাক-বিতন্ডা নিয়ে শালিকা জুনেরা খাতুন (১৯) কে ওরনা পেঁছিয়ে হত্যার পর আত্নহত্যা বলে চালিয়ে দেয় দুলাইভাই সুহাগ এমন অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে চুনারুঘাট সদর ইউনিয়ের শেখেরগাও গ্রামে।
হত্যার পর দুলাভাই নিজেই শালিকার লাশ তড়িঘড়ি করে কাফন দাফন করার ব্যবস্থা করেন। বিষয়টি জুনেরার আত্নীয় স্বজনদের সন্দেহ হলে তারা পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে মর্গে প্রেরণ করেন। নিহত জুনেরা শেখেরগাও গ্রামের আব্দুছ ছিতারের মেয়ে।
গত বুধবার রাতে বড় মেয়ের স্বামী সুহাগকে আসামী করে চুনারুঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন আব্দুছ ছিতার মিয়া । মামলা দায়েরের পর চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আলী আশরাফের নির্দেশনায় ইন্সপেক্টর তদন্ত চম্পক দাম এর নেতৃত্বে এসআই অলক বড়ুয়া, এসআই ভূপেন্দ্র চন্দ্র বর্মন, এসআই মোতালিবসহ একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে শশুর বাড়ি এলাকা থেকে দুলাইভাই সোহাগ (৩০) কে আটক করেন। আটক সোহাগ হবিগঞ্জ পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ডের যশোরআব্দা গ্রামের সবুজ মিয়ার পুত্র।
আদালত সুত্রে জানা যায়,বৃহস্পতিবার বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ঘটনার বর্ননা দেয় সোহাগ।
