প্রসঙ্গ:জেলা পরিষদ নির্বাচন ও জনপ্রতিনিধিদের বাজার দর !

    0
    204

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৪ডিসেম্বরঃ নিম্নের দীর্ঘ লেখাটি প্রবাসী লেখক নজরুল ইসলামের https://web.facebook.com/nazrul.islam. স্ট্যাটাস থেকে সংগৃহীত।পুর্ণ লেখাটি হুবহু তুলে ধরা হল।

    দুইটি বিষয় নিয়ে আমার হতাশার কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাচ্ছি।

    ১. জেলা পরিষদ নির্বাচন ও আমাদের জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ !
    ২. দেশের হত দরিদ্র গরিব অসহায় নিঃস্ব ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল সরবরাহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ওমৌসুমী পাতিনেতাদের নিলজ্জ্ব স্বজনপ্রীতি দুর্নীতি।

    আয়ামিলীগের একজন মহিলা সাংসদ তারানা হালিম। ঐ ভদ্র মহিলা প্রায়ই sensible কথাবার্থা বলেন l অভিনয়ের পাশা পাশি রাজনীতিতেও তিনি নিজেকে আলোচনার কেন্দ্র নিয়ে এসতে পেরেছেন। কয়েক দিন পূর্বে ফেইসবুকে দেখলাম তিনির দেওয়া বক্তব্যের অংশ বিশেষ সবাই শেয়ার করেছেন যা আমার ও চোখে পড়েছে।

    বলেছেন “ফেসবুক একটি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, এখানে প্রত্যেকেই নিজে নিজ রাজ্যের রাজা। কিন্তু রাজা হলেই জুলুম করা যায় না। কলম থাকলেই সাংবাদিক হওয়া যায় না। দু’একদিন মিছিলে গেলেই রাজনীতিবিদ হওয়া যায় না। আসুন, আমরা মানুষ হই। কাউকে ছোট করে কিছু লেখার আগে শতবার ভাবি। কারণ,মানুষ হওয়াই সবচেয়ে কঠিন কাজ। চলুন, এ কাজটি করি সবার আগে মানুষ হই ।

    তিনি তো খারাপ বলেননি, জন্ম নিলেই মানুষ হওয়া যায় না ,প্রথমেই আমাদের মানুষ হওয়া প্রয়োজন। অতি পরিচিত সহজ সরল বাক্য চয়ন করে একটি বস্তুনিষ্ট ও যুক্তিযুক্ত বাক্যের প্রয়োগ উপস্থাপন করেছেন যা আত্বসম্মান বোধ দিয়েই উপলব্দি করতে হবে। প্রশ্ন, আমাদেরকি সেটা কি আর আছে ? যাই হোক প্রসঙ্গ থেকে দূরে যাচ্ছি না যা আলোচনা করবো বলেছিলাম

    📍নাম্বার ওয়ান :

    আমার মধ্যে একটা ক্ষোভ কাজ করছে যা আমি প্রকাশ করতে চেয়েছিলাম একটি আর্টিকেল প্রবন্ধ লেখনীর মাধ্যমে। কিন্তু যাদের সম্পর্কে আমি লিখতে চাচ্ছি তাঁদের আচার আচরণ নীতি নৈতিকতা আত্বসম্মান আত্মমর্যদাবোধ এতটাই নিচে নেমেছে যে, যতবারই শুরু করেছি তত বার -ই লিখতে আমার রুচিতে বাধেঁছে। তাই অরিটকেল না লিখে সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনাদের সাথে আমার ফিলিংস একটু শেয়ার করছি।

    বাংলাদেশ সচেতন আপনারা সকলেরই জানেন জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আমাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হালচাল, বাজার দর, ভোট প্রতি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা বকশিস আদায়ের পাঁয়তারা ,সকল প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া ,খাওয়া , প্রতিশ্রূতি দেওয়া – যা শুনা যাচ্ছে লোকমুখে সামাজিক মাধ্যমে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের এহেন আচরণ অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক।

    নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই নির্বাচন করবেন স্থানীয় সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। তাই একজন সৎ যোগ্য অভিজ্ঞ সম্মানী বাক্তি-কে নির্বাচন করার প্রত্যাশা সাধারণ ভোটারদের চেয়ে চিন্তা চেতনায় সমৃদ্ব অভিজ্ঞ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে একটু বেশী প্রত্যাশা অবান্তর কিছুই নয়। বাস্তবে আমরা যা দেখছি বা শুনছি তা বড়ই লজ্জার।

    📍নাম্বার টু :

    বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা দরিদ্র মুক্ত দেশ ,আর সেই স্লোগান নিয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর হতে দেশের হত দরিদ্র পিড়িত ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল সরবরাহ শুরু করে সরকার। দেশের হতদরিদ্র মানুষের জন্য সরকারের এ উদোগ সত্যি প্রশংসিত। সরকাররের এই সিদ্ধান্তে সমাজের অভাবী মানুষের মনে আশার আলো জ্বলে ওঠে। কিন্তু দূরভাগ্য জনক হলেও সত্য যে গরিবের জন্য বরাদ্বকৃত এ চাল ভোগে ব্যস্ত হয়ে ওঠে সুযোগ সন্ধানী একদল ক্ষুধার্থ পাতিনেতা ও নামধারী মৌসুমী নেতারা। জনাব ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন গায়ে গা লাগলেই বলে “আমি যুগ্ন সম্পদক!! ঠিকই বলেছেন।

    একোর্ডিং টু সামাজিক মাধ্যম নিউজ পেপার ও টিভি রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে যা বলিতে চাই , খাদ্যবান্ধব এ কর্মসূচি’ শুরু হতে না হতেই নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ আসতে শুরু করেছে যা নজর করার মত। হতদরিদ্রদের ১০ টাকা দরে চাল বিতরণ কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নিজে হুঁশিয়ারি সংকেত দিয়েছেন তবুও কাজে আসছেনা দুর্নীতি নামক ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত এই সব জনপ্রতিনিধিদের। দুর্নীতি স্বজন প্রীতি মিথ্যা প্রতিশ্রূতি আশ্বাস আমাদের রক্তের সাতে মিশে গেছে।

    এ সম্পর্কিত একটি রিপোর্টে পড়ছিলাম যেখানে বলা হয়েছে অল্প সময়েইর মধ্যে জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা সহ অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই সঙ্গে অনেকেরই ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে , চালের ওজনে কম দেয়ায় অনেক ডিলারকে জরিমানা ও অভিযুক্ত ও খাদ্য কর্মকর্তাদের বদলি করা হয়েছে। গরীব মানুষের জন্য বরাদ্বকৃত এই প্রকল্পটি সমাজের টাউট বাটপারদের কারসাজিতে শুরুতেই হোঁচুট খেয়েছে।

    আমার দুঃখ আর ক্ষোভ হলো -সাধারণ মানুষের হাতে পায়ে ধরে ভোট ভিক্ষা চেয়ে নির্বাচিত হয়েই দায়িত্ব প্রাপ্ত ঐ সব খবিশ নিলজ্জ জন প্রতিনিধিরা নেহায়েত গরিব মানুষের জন্য বরাদ্বকৃত ১০ টাকা কেজি দরে চালের উপর লোভ সামাল দিতে পারেননি।

    সরকার আন্তরিক থাকলে ও কিছু দুর্নীতিবাজ অতি উৎসাহি পাতিনেতা ও জনপ্রতিনিধদের কারনেই এই সব অনিয়ন ও কান্ডজ্ঞানহীন কর্মকান্ড চলছে।

    তাই বলছি একজন সৎ যোগ্য নিষ্টাবান ব্যাক্তিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা বড়ই প্রয়োজন।