প্রেমের শেষ পরিণতিঃরাস্তায় নবজাতকের ঠিকানা !

    0
    204

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৬ফেব্রুয়ারী,মতিউর রহমান মুন্না: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ – বাউসা সড়কের সুগন্ধ্যা হাউজের সামনে বুধবার দিবাগত গভীর রাতে একটি বাক্সের মধ্যে কান্নারত অবস্থায় পিতৃপরিচয়হীন এক নবজাতক শিশুকে উদ্ধার করেছে স্থানীয় লোকজন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটির খবর এলাকায় ছাউর হলে বৃহস্পতিবার সকালে শত শত উৎসুক নারী-পুরুষ এক নজর দেখার জন্য হাসপাতালে ভীড় জমায়। তবে কে বা কারা এই বাচ্চাটাকে ফেলে গেছে তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি। মাতৃস্নেহের বঞ্চিত শিশুটি গতরাত থেকে হাসপাতালে জনৈকা মহিলার খোলে ফেলফেল করে থাকিয়ে আছে।

    সূত্রে জানা যায়, বুধবার দিবাগত গভীর রাত প্রায় ২টার দিকে ওই এলাকার আব্দুল হেকিমের ছেলে সামছু মিয়া বাড়ি ফেরার পথে উল্লেখিত স্থানে মিষ্টির বাক্সের ভিতরে উক্ত নবজাতকের কান্নার শব্দ পেয়ে এগিয়ে যান। তার ডাকে সুগন্ধ্যা হাউজের লোকজনও বেরিয়ে আসেন। আশপাশ খোজাঁখুজি করে কাউকে না পেয়ে থানা পুলিশকে ঘটনাটি অবগত করে হাসপাতাল নিয়ে যান। কর্তৃপক্ষ শিশুটি ভর্তি করলেও মাতৃস্নেহের জন্য লোক খোজঁতে থাকলে উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের রাঙ্গা মিয়ার স্ত্রী আলেছা বিবি এগিয়ে আসলে, উদ্ধারকারী ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই মহিলাকে দেখাশুনার দায়িত্ব প্রদান করেন। সকাল হতেই ঘটনাটি ছাউর হলে শহরের আশপাশ এলাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে হতভাগা শিশুটি এক নজর দেখার জন্য হাসপাতাল ভীড় জমান। অনেকেই ছেলে শিশুটি দত্তক নেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে। কিন্ত দায়িত্বরত আলেছা বেগম কাউকে না দিয়ে নিজেই মাতৃ¯েœহে লালন-পালনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ঘটনাটি নবীগঞ্জের সর্বত্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে এসআই সুধীন চন্দ্র দাশ একদল পুলিশ নিয়ে হাসপাতাল গিয়ে শিশুটি দেখে আসেন। এবং বলা হয় থানায় জিডি মুলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আর আগ পর্যন্ত আলেছা বিবির নিকটই ১ দিনের ওই শিশুটি থাকবে। এছাড়া গত রাত থেকে রির্পোট লেখা পর্যন্ত উক্ত নব জাতকের জন্ম দাতা পিতা-মাতার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

    এলাকাবাসীর প্রশ্ন, কি অপরাধ ছিল ফুটফুটে এই নবজাতকের…? পৃথিবীতে ভুমিষ্ট হওয়ার পর পরই পিতৃপরিচয়হীন হয়ে বেচেঁ থাকতে হবে ? কি অপরাধে এই নিঃস্পাপ শিশুটিকে রাস্তায় ফেলে দেয়া হলো ? কার কু-কর্মের ফসল এই শিশু, কেউ বলতে পারছে না। তবু তার দায়িত্ব নেয়ার জন্য সন্তান থেকে বঞ্চিত দম্পতিগণ সহ প্রায় অর্ধ শতাধিক নারী পুরুষ। কেউ জানে না, ওই শিশুটি অনাগত ভবিষ্যত কি ? এ ঘটনায় সমগ্র উপজেলা জুড়ে চলছে চুল ছেড়া বিশ্লেষন।

    একজন মা তার সন্তানকে ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ করার পর সেই সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। এরপর সন্তাকে পরম মমতায় লালন পালন করেন। কিন্তু কি অপরাধে এ নবজাতকে রাস্তায় একটি বাক্সের মধ্যে ফেলে দিলো তার গর্ভধারিনী মা..? হাসপাতালে নবজাতকে দেখতে আসা সকলের মনে একই প্রশ্ন। শিশুটিকে দেখতে আসা লোকজনের মতে কোন দূঃচরিত্রা নারী তার অপগর্ভের ফসল হতে পারে এই শিশুটি। তাই লোক লজ্জার ভয়ে গভীর রাতে নিঃস্পাপ ওই শিশুটিকে রাস্তায় রেখে পালিয়েছে।