ফুলগাজী উপজেলার চেয়ারম্যানকে গুলি করে জ্বালিয়ে হত্যা

    0
    222

    আমারসিলেট24ডটকম,২০মেঃ মাইক্রোবাসে এলোপাতাড়ি গুলি করে ও একই সাথে আগুন লাগিয়ে দিয়ে ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলার চেয়ারম্যান একরামুল হককে (৪৭) হত্যা করা হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো অন্তত ৩ জন গুরুতর অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে- গুলি করার পর তার মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য দুর্বত্তরা তার গাড়িতে আগুন দিয়েছে। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি বলে একটি সুত্র জানিয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ফেনী শহরের একাডেমি এলাকায় বিলাসী সিনেমা হলের সামনে এ ঘটনাটি ঘটেছে। ফেনী সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার এ খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্বৃত্তরা একরামের গাড়ি আটকে গুলি করার পর তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এদিকে অপর একটি সূত্র বলেছে, আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে একরামুল হক ফেনী শহরের বাসা থেকে নিজ গাড়িতে করে ফুলগাজী যাচ্ছিলেন। পলিটেকনিকের কাছে পৌঁছার পর দুর্বৃত্তরা গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। এতে গাড়ী আটকে যাওয়ার পরপরই গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে একরামুল হক ঘটনাস্থলেই মারা যান। গাড়ির চালকসহ অপর ৩ জন আগুনে পুড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্বৃত্তরা সংখ্যায় ৮ থেকে ১০ জন ছিল। অগ্নিদগ্ধ ৩ জন হলেন ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন (৬০), স্থানীয় পত্রিকা সাপ্তাহিক ফেনী সমাচার এর প্রকাশক ও সম্পাদক মহিবুল্লাহ ফরহাদ (৩২) ও গাড়িচালক মামুন (৩০)। তাদের ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসাধীন মহিবুল্লাহ ফরহাদ জানান, চেয়ারম্যান একরামুল হকের সঙ্গে তার গাড়িতে করে তারা ফেনী সদর থেকে ফুলগাজী যাচ্ছিলেন। বিলাসী হোটেলের সামনে পৌঁছার পর তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে দুই পাশ থেকে এলোপাতাড়ি গুলি আসতে থাকে। এ সময় চেয়ারম্যান একরামুল হক গুলিবিদ্ধ হন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুর্বৃত্তরা গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। তারা ৩ জন গাড়ি থেকে নামতে পারলেও গুলিবিদ্ধ একরামুল হক বের হতে পারেননি। তিনি গাড়ির মধ্যেই আগুনে পুড়ে মারা যান। পুলিশ ও দমকল বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়। গাড়ি থেকে একরামুল হকের পুড়ে যাওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ফেনীর পুলিশ সুপার পরিতোষ ঘোষ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহত চেয়ারম্যান একরামুল হকের লাশ ফেনী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে দুর্বৃত্তদের কাউকেই আটক বা শনাক্ত করা যায়নি বলে জানা গেছে।