মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন ফুলতলী পীর সাহেবের বড় ছেলে ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী । সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের সকল কাজে আল্লাহর ভয় অন্তরে রাখতে হবে। হাশরের ময়দানে যদি আল্লাহ জিজ্ঞেস করেন ‘কি নিয়ে এসেছে’ তখন কী জবাব দিবে ? সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী (র.) যখন ওয়ায করতেন তখন বলতেন, হে আল্লাহর বান্দা আ্ললাহকে ভয় করো। তিনি বলেন, গভীর রাতে দাম্ভিক মস্তক অবনত করে চিন্তা করবেন গত মানুষ ভুখা-নাঙ্গা, গত মানুষ এতীম-অসহায়। তাদের নিয়ে চিন্তা করবেন, শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবলে চলবে না।
তিনি আরও বলেন, মানুষের মধ্যে দূরত্ব কমাতে হবে। ভিন্নধর্মী যে সেও আমার ভাই, এক আদমের সন্তান। তাকে কাছে টানতে হবে, দীনের দাওয়াত দিতে হবে। মুসলমানদের পরষ্পরের মধ্যে ছোটখাটো মতানৈক্য পরিহার করতে হবে। এ ছাড়া বৃক্ষরোপন করলেও অনেক বেশি সওয়াব পাবে ইত্যাদি।
বাংলাদেশ আন্জুমানে আল ইসলাহর সভাপতি মুহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী’র পরিচালনায় মাহফিলে বক্তব্য রাখেন ইছামতি কামিল মাদরাসার সাবেক প্রিন্সিপাল শায়খুল হাদীস হবিবুর রহমান, ভারতের উজানডিহির পীর সায়্যিদ মোস্তাক আহমদ আল মাদানী, ফুলতলী কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল নজমুদ্দীন চৌধুরী, দৈনিক ইনকিলাবের নির্বাহী সম্পাদক কবি রূহুল আমীন খান, শিহাব উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী, মুফতী গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, ঢাকা নেছারিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল কাফীলুদ্দীন ছালেহী, সোবহানীঘাট কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল কমরুদ্দীন চৌধুরী, সাবেক এমপি আলহাজ শফিকুর রহমান চৌধুরী, আলহাজ সেলিম উদ্দিন এমপি, মুফতী আবূ নছর জিহাদী, জালালপুর জালালিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল জ.উ.ম আব্দুল মুনঈম, সৎপুর কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল শফিকুর রহমান, মুহাদ্দিছ ছালিক আহমদ, রাখালগন্জ সিনিয়র মাদরাসার প্রিন্সিপাল হবিবুর রহমান, বুরাইয়া কামিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম ফারূকী, ঢাকা মহাখালী কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিছ মাহবূবুর রহমান, দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিছ বদরুজ্জামান রিয়াদ, শামসুদ্দীন নূরী, আবদুল বারী জিহাদী, মোশাহিদ আহমদ কামালী, আব্দুস সোবহান জিহাদী প্রমুখ।