বলাৎকারে ব্যর্থ হয়ে ক্ষুর দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে এক গৃহ শিক্ষক!

    0
    215

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৩নভেম্বর, রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর প্রতিনিধি:
    সিলেটের জৈন্তাপুরে বখাটের গৃহ শিক্ষকের বলাৎকার প্রস্থাবে রাজি না হওয়ার এক জে.এস.সি পরীক্ষার্থীকে ক্ষুর দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে আহত করা হয়েছে। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। প্রচুর রক্ত ক্ষরণে অবস্থার অবনতি সিলেট ওসমানী হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। বখাটে গৃহ শিক্ষক মোক্তার হোসেনকে এলাকাবাসী গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

    আজ ৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ২টায় উপজেলার দরবস্ত বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

    উৎসুক জনতার ভীর
    উৎসুক জনতার ভীর

    আহত জেএসসি পরীক্ষাথী নাম মাহিন আহমদ মাহিন (১৪)। সে উপজেলার ৪নং দরবস্ত ইউনিয়নের তেলিজুরি গ্রামের বজলুর রহমান শামীমের ছেলে। স্থানীয় সেন্ট্রাল জৈন্তা উচ্চ বিদ্যালয়ের জে.এস,সি পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা কেন্দ্র হতে বাড়ী ফেরার পথে তেলিজুরী গ্রামের রহমত আলীর ছেলে বখাটে গৃহ শিক্ষক মোক্তার হোসেন দরবস্ত বাজারে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ী হামলা চালায় পরীক্ষারীর উপর। গুরুত্বর আহত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়। প্রচুর রক্তক্ষরণে ফলে শিক্ষার্থীর অবস্থার অবনতি সিলেট ওসমানী হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এদিকে বখাটে মোক্তার পালিয়ে বাজারের সন্নিকটে ডাইয়া গ্রামের কুতুব আলীর বাড়ীর চৌকির নিচে অবস্থাননেয়। স্থানীয় জনতা পিছু নিয়ে পুরো বাড়ী গেরাও করে রাখে। পরে স্থানীয় যুবলীগ নেতা কুতুব উদ্দিন বিষয়টি তাৎক্ষনিক ভাবে জৈন্তাপুর মডেল থানায় খরব দিলে অফিসার ইনচার্জ সফিউল কবির এর নির্দেশে এস.আই নাসির, এস.আই শাহেদ, এস.আই রুমেন আহমদ ফৌস নিয়ে ঘটস্থলে উপস্থিত হন।

    অপরদিকে খবর পেয়ে দরবস্ত ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার, সেন্ট্রাল জৈন্তা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিটু, স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গরা উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করেন। এক পর্যায় স্থানীয়দের সহায়তায় বখাটে গৃহশিক্ষক মোক্তারকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এসময় কিছু সংখ্যাক উত্তেজিত জনতা মোক্তারকে গণধোলাইদেয়। গণধোলাইর প্রক্কালে আহত হন জৈন্তাপুর মডেল থানার এস.আই নাছির, ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার সহ পুলিশের দুই সদস্য।
    এলাকাবাসী জানায় দীর্ঘ দিন হতে পাড়ানোর সুবাদে বখাটে গৃহ শিক্ষক মোক্তার নিজের ফায়দা হাসিলের লক্ষে পরীর্ক্ষীকে কুপ্রস্থাব দিয়ে আসছে। কুপ্রস্থাবে রাজী না হওয়ায় সে ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এলাকাবাসী আরও জানান- মোক্তার আগে থেকেই এলাকার একজন চিহ্নত বখাটে। স্থানীয় ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন জানান- ইতিপূর্বে মোক্তার বিরোদ্ধে এরকম অভিযোগে সেন্ট্রাল জৈন্তা উচ্চ বিদ্যালয়ের খন্ডকালিন শিক্ষক পদের চাকুরী হতে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
    এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে ৬ টা পর্যন্ত ধৃত মাক্তার কে আসামী করে থানায় মামলা দায়েরে প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন অফিসার ইনচার্জ সফিউল কবির।
    অপর দিকে পরীক্ষার্থী উপর হামলার ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সোহেল মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের জানান এঘটনার দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির জন্য উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।