বিরোধীদের বাঁধা উপেক্ষা করে হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছেঃঅর্থমন্ত্রী

    1
    340

    মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়াঃ  অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মহিত বলেছেন-বিরোধী দলের সকল বাঁধা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। জাতিকে স্বশিক্ষায় শিক্ষিত করতে নিরলস ভাবে কাজ করা হচ্ছে। আর অন্যদিকে বেগম খালেদা জিয়া বাসে প্রেট্্েরাল মেরে,হরতাল অবরোধ দিয়ে সেই উন্নয়নের পথে বাঁধা সৃষ্টি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন।

    কিন্তু এদেশের জনগন শান্তি চায়,তাই তাদের ডাকা হারতাল অবরোধে কেউ সাড়া দেয়না। দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্র বিকাশের লক্ষ্যে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। একটি জাতির অগ্রগতির প্রধান হাতির হচ্ছে শিক্ষা। এজন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে।

    এলক্ষে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রনয়ন করাসহ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে ৩কোটি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন,জাতিকে শিক্ষিত করতে সরকার শিক্ষাবৃত্তির প্রচলন চালু করে শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়া রোধ করছে। আর বেগম খালেদা জিয়া স্কুল-কলেজে পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে হরতাল ও অবরোধ দিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার বাঁধা সৃষ্টি করছে। তাদেরকে ফেলে দিচ্ছে চরম ভোগান্তির মাঝে। এর জন্য বেগম জিয়াকে এদেশের জনগনের কাছে জবাব দিতে হবে।

    উপজেলার স্থানীয় বিএডিসি মাঠে আয়োজিত সভায় আওয়ামীলীগের সংসদ বিয়ষক স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন-সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর,বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী, সুনামগঞ্জ ১ আসনের এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন,সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার সংরক্ষিত আসনের এমপি এডভোকেট শাহানা রব্বানী,সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান,জেলা পরিষদের প্রশাসক ব্যারিষ্টার এম এনামুল কবির ইমন।

    এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন-সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মিজানুর রহমান,সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম,পুলিশ সুপার হারুন অর-রশিদ,শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুষেণ চন্দ্র দাস,দিরাই ডিগ্রি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান,কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নেছার আলম মুকুল,ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সঞ্জিত রায়,মুক্তিযোদ্ধা সালেহ চৌধুরী প্রমুখ। সভার শেষে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান হয়।

    তার আগে দিরাই উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে নির্মিত স্মারক স্তম্ভ উদ্ভোধন করা হয়।