ভারতে ভবঘুর জীবন কাটিয়ে শ্রীমঙ্গল মহিলা কলেজের অধ্যাপক দেশে ফিরলেন!

0
184

আমার সিলেট রিপোর্ট ,বড়লেখা: ভারতে প্রায় ৭ বছর ভবঘুরে জীবন কাটিয়ে হবিগঞ্জের আজমেরীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা ও মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার দ্বারিকা পাল মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যাপক সম্পদ রঞ্জন রায় স্বদেশে পৌঁছেছেন।
শনিবার (৮ জুলাই) দুপুরে বিএসএফ ও ভারতীয় সীমান্ত পুলিশ বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দরে বিজিবি ও ইমিগ্রেশন পুলিশের নিকট তাকে হস্তান্তর করেছে।
পরে বিজিবি ও ইমিগ্রেশন পুলিশের নিকট থেকে সম্পদ রঞ্জন রায়কে তার ভাই সঞ্জয় কুমার রায় গ্রহণ করেন। তিনি হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শাহানগর গ্রামের মৃত কালিপদ রায়ের ছেলে।

বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়ন ও শেওলা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দেশে প্রত্যাবর্তনকারী সম্পদ রঞ্জন রায় (৬৫) দীর্ঘদিন শ্রীমঙ্গল দ্বারিকা পাল মহিলা কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। এরপর হঠাৎ অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। পরবর্তীতে কোন এক সময় ত্রিপুরা সীমান্ত ফাঁড়ি দিয়ে তিনি ভারতে প্রবেশ করেন। প্রায় ৭ বছর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পরিবারের লোকজন তার কোন সন্ধান পাননি। তিনি ভারতের আসাম রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ভবঘুরে জীবন কাটাচ্ছিলেন। তবে গত কয়েক মাস আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সন্ধান পায় বাংলাদেশী স্বজনরা। এরপর আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী ও সীমান্ত পুলিশ ভবঘুরে মানসিক ভারসাম্যহীন সাবেক এই কলেজ শিক্ষক সম্পদ রঞ্জন রায়কে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে।

এ সময় সীমান্তের শেওলা-সুতারকান্দি জিরো পয়েন্টে বাংলাদেশী নাগরিককে হস্তান্তরকালে উপস্থিত ছিলেন বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের বড়গ্রাম বিওপির কোম্পানী কমান্ডার মোহাম্মদ রাকিব, শেওলা স্থলবন্দর (ইমিগ্রেশন পুলিশ) চেকপোষ্টের ইনচার্জ সৈয়দ মওদুদ আহমদ রুমী, বিএসএফের সুতারকান্দি কোম্পানী কমান্ডার ডি মিশ্র, সুতারকান্দি সীমান্ত পুলিশ চেকপোষ্টের ইনচার্জ সমরেন্দ্র চক্রবর্তী প্রমুখ।

শেওলা স্থলবন্দর পুলিশ চেকপোষ্টের ইনচার্জ এসআই রুমী জানান, ভারত থেকে সম্পদ রঞ্জন রায় নামে হবিগঞ্জের আজমেরীগঞ্জ উপজেলার একজন সাবেক শিক্ষক দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন। বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশ দুপুরের দিকে তাকে বিজিবি ও পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। দু দেশের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চেকপোষ্টে আগে থেকে অপেক্ষা রত ভাইয়ের নিকট পুলিশ হস্তান্তর করেছে।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গলের দ্বারিকা পাল মহিলা কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ সৈয়দ মনসুরুল হক আমার সিলেটকে বলেন, অনেকদিন আগের কথা সবকিছু মনে নেই তবে যতটুকু মনে পড়ে তিনি আমাদের কলেজেই ছিল, সম্ভবত সরকারি স্যালারি পাওয়ার প্রত্যাশায় তিনি পরবর্তীতে বড়লেখার একটি কলেজে চলে যান, তবে তিনি অসুস্থ ছিল বলে শুনেছি।