মরার উপর খরার ঘা,শ্রীমঙ্গলে ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত !

    0
    381

    জহিরুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক: ডেঙ্গু জ্বর, যাকে ব্রেক বোন জ্বর বলা হয়ে থাকে, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ আর অসতর্কতাই এই রোগের বিস্তার লাভে সহায়ক হয়ে থাকে। এই জ্বর এক প্রজাতির মশার কামড়ের কারণে হয়ে থাকে, যার নাম এডিস মশা,এই এডিস মশাই এই রোগের ভাইরাস বহন করে।

    বিশেষকরে এপ্রিল মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পযর্ন্ত এই রোগে আক্রান্ত হবার তথ্য পাওয়া যায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় জনবহুল পরিবেশ রয়েছে এখানে রয়েছে অপরিচ্ছন্নতা ও অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা রয়েছে শহর কেন্দ্রীয় ময়লার ভাগাড় এখানে প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা থাকলেও নেই সময়মত পরিচ্ছন্নতা অভিযান তাছাড়া বর্ষা শুরুর আগেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা পরিষ্কার করাসহ মশক নিধনে নিয়মিত ঔষধ ছিটানো অতীব জরুরী। না হলে এই অঞ্চলের দেখা দিতে পরে ডেঙ্গুর ভয়াভহতা।

    অপরদিকে,করোনার মত মহামারীর মৌসুমে “মরার উপর খরার ঘা” হিসেবেই দেখছে এলাকাবাসী।

    জানা গেছে, শ্রীমঙ্গল শহরের কলেজ রোডের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিদর্শক মোঃ আব্দুল মালেকের ছেলে মোঃ তারেক (৩৫) ক’দিন থেকে জ্বরে ভোগছিলেন। সপ্তাহ পেরিয়ে গেলে জ্বর ভালো না হওয়ায় তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে জ্বরের তীব্র উপসর্গ দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ডেঙ্গু টেস্টে রোগির দেহে ডেঙ্গুর উপস্থিতি দেখতে পান

    গত কয়েকদিন আগে তীব্র জ্বর নিয়ে ওই ব্যক্তি শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। জ্বরের তীব্রতা ও ওনার উপসর্গ দেখে হাসপাতাল কতৃর্পক্ষ পরীক্ষা করে শনিবার ২৫ এপ্রিল তার দেহে ডেঙ্গু রোগের উপস্থিতি পান।

    শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
    সিলেট বিভাগের সাবেক স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ হরিপদ রায়ের সাথে তিনি জানান গত বছর গুলোতে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনেকেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন সাথে অনেক রোগির মৃত্যুর কারন হয়েছে এই ডেঙ্গু, শ্রীমঙ্গল একটি পর্যটন শহর তাই বর্ষা শুরুর আগেই যথাযত পদক্ষেপ ও পরিচ্ছনতা না করলে এই অঞ্চলে দেখা দিতে পারে ডেঙ্গুর প্রকোপ তাছাড়াও নিজ বাড়ির আঙিনা পরিচ্ছন্ন রাখা কোথাও ফুলের টব বা গাড়ির টায়ারে পানি জমতে না দেওয়া সাথে নিয়মিত ঔষধ ছিটিয়ে ডেঙ্গু দমনে ভূমিকা রাখা যেতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলি জানা এবং সনাক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যাতে সময়মত চিহ্নিত করা যায় এবং প্রয়োজন হলে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যায়।

    শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী জানান, ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সাধানরত সংক্রমিত মশা কামড়ানোর চার দিন পরে দেখা যায় এবং ১০ দিন পর পর্যন্ত বা তারও বেশি দিন স্থায়ী হতে পারে যা রোগের তীব্রতার উপর নির্ভর করে। বেশিরভাগ সময়, ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ দেখে ভাইরাল জ্বর, সংক্রমণ বা ফ্লু বলে ভুল করা হয় যারফলে চিকিৎসায় বিলম্ব হতে পারে; তাই, পার্থক্য করতে রোগের লক্ষণ স্পষ্টভাবে সনাক্ত করা বাধ্যতামূলক। ডেঙু জ্বরের কিছু সাধারণ লক্ষণের মধ্যে রয়েছে: কারণ ছাড়া, হঠাৎ উচ্চ জ্বর অসহ্য মাথা ধরা চোখের ওপরে কপালে ব্যাথা পেশিতে এবং গাঁটে তীব্র ব্যাথা প্রচন্ড দুর্বলতা এবং ক্লান্তি বমি বমি ভাব বমি করা ত্বকে ফুসকুড়িসহজে ক্ষত হওয়া বা রক্তপাত হজমের গোলমাল ডাইরিয়া স্ফীত গ্রন্থি ডেঙ্গুর কিছু ক্ষেত্রে অল্প কিছু লক্ষণই দেখা দেয়, যা নির্দিষ্ট ওষুধ খেলে, বিশ্রাম নিলে এবং অনেক পরিমাণে জল পান করলেই সেরে যায়।বিরল কিছু ক্ষেত্রে, ডেঙ্গু প্রাণনাশক হতে পারে, যদি তা সঠিক সময়ে সনাক্ত এবং চিকিৎসা না করা হয়। যেহেতু ডেঙ্গুর কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ বা প্রতিষেধক নেই তাই সচেতনতাই পারে এই রোগের বিস্তার ঠেকাতে।