মানবতাবিরোধী অপরাধে কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানা

    1
    231

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৯ফেব্রুয়ারী: ১৯৭১ এর মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল।আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ পরোয়ানা জারি করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই পরোয়ানা জারি কর‍া হয়।

    ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপিতে স্বাক্ষরের পরপরই কেন্দ্রীয় কারাগার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পরোয়ানা পাঠানো হয়েছে। দুপুর দেড়টার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পরোয়ানা পৌঁছে দেন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. আফতাব উজ জামান।

    গতকাল বুধবার কামারুজ্জামানের মৃত্যু দণ্ডের অনুলিপি প্রকাশ করেছে ট্রাইব্যুনালের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচার পতি এস কে সিনহা ৪ জন বিচারপতির স্বাক্ষর শেষে বুধবার দুপুরে ৫৭৭ পৃষ্ঠার রায়ের কপি প্রকাশ করা হয়।

    নিয়মানুযায়ী, রায়ের সার্টিফায়েড কপি তৈরির পর কামারুজ্জামান ১৫ দিন সময় পাবেন রিভিউ করার জন্য। যদি এই সময়ের মধ্যে কামারুজ্জামান রিভিউ করেন তাহলে রিভিউ নিষ্পত্তি হওয়ার পর রায় কার্যকর করতে পারবে সরকার। আর তিনি যদি রিভিউ না করেন তবে সরকারকে রায় কার্যকর করতে ১৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে বলে আপিল বিভাগ জানিয়েছে।

    তবে, একইদিন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যু পরোয়ানার আদেশ জারি করে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবে। তখন সরকারের পক্ষে কামারুজ্জামানের ফাঁসির দিন ধার্য করতে কোনো অসুবিধা থাকবে না। তবে কামারুজ্জামানের পক্ষ থেকে রিভিউ পিটিশন করা হলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যাবে।

    ২০১৪ সালের ৩ নভেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

    এর আগে ২০১৩ সালের ৯ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

    কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতন, লুটপাটসহ প্রসিকিউশনের আনা সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটিই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয় ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া বাকি দুটি অভিযোগ প্রমাণ হয়নি মর্মে তাকে খালাস দেয়া হয়।