মৌলভীবাজারে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

    0
    179

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,২৯অক্টোবর,আলী হোসেন রাজনঃ মৌলভীবাজার জেলার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উদ্যোগে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শনিবার ২৯ অক্টোবর, সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ.কিউ.এম. নাছির উদদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ারুল হক,মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ডাঃ পার্থ সারথি দত্ত কাননগো, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মেডিকেল অফিসার, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, জেল সুপার, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর, ইন্সপেক্টর, পিবিআই এবং জেলার বিভিন্ন থানার ও রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণও উপস্থিত ছিলেন।

    কনফারেন্সের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে  চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব এ.কিউ.এম. নাছির উদদ্ীন বিগত সভার সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরে দ্রুততা ও দক্ষতার সাথে আইনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করতঃ প্রতিবেদন দাখিল, যথাসময়ে মামলার সাক্ষী উপস্থাপন নিশ্চিত করতঃ তাদের নিরাপত্তা বিধান, গ্রেফতারের পর আইনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আদালতে সোপর্দ করা এবং ডাক্তারী পরীক্ষা ও মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দেয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বনসহ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য বিচারক ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বিভিন্ন ধরনের দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।গত মাসের মামলা নিষ্পত্তির বিবরণ উপস্থাপন করে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বলেন যে, সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে ৭১৪৩টি মামলা বিচারাধীন ছিল।

    নতুন দায়ের হয়েছে ৭০৪টি মামলা, নিষ্পত্তি হয়েছে ৬১৮টি, বর্তমানে ৭২২৯টি বিচারাধীন আছে। এবং পাঁচ বছরের পুরাতন ৫৫টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। তাছাড়া ৯৯২টি সাজা পরোয়ানা বিনা জারী অবস্থায় থাকার কারণে দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদেরকে বিচারের আওতায় এনে সাজা প্রদান করা যাচ্ছে না এবং দৃশ্যত;ন্যায়বিচার বিঘ্নিত হচ্ছে।

    সাজাপ্রাপ্ত বা বিচারাধীন মামলার আসামী আদালতের বাইরে থেকে একদিকে যেমন নতুন নতুন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে, অন্যদিকে এই কারণে বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে জনগণের মধ্যে আস্থার সংকট দেখা দিচ্ছে। তাই বিভিন্ন পরওয়ানা জারীর বিষয়ে আরও তৎপর হওয়ার জন্য তিনি বিভিন্ন থানা থেকে আগত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

    উল্লেখ্য যে, প্রতি তিন মাস পর পর এ মিটিংয়ের আয়োজন করেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ.কিউ.এম. নাছির উদদীন।